ঢাকা, শনিবার, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের আরও লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
‘অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের আরও লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার’ অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণের অভাবে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এখনো কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি বলে দাবি করেছেন এটিইউ প্রধান অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিন।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হলে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

এটিইউ প্রধান বলেন, জাতিসংঘ ২০০৬ সালে গ্লোবাল কাউন্টার টেররিজম স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করে। সেখানে চারটি স্ট্র্যাটেজির কথা বলা হয় সদস্য রাষ্ট্রের জন্য। আমরা এটিইউ নতুন সংগঠন। আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণের অভাবে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। এখানে আমাদের আরও সাপোর্ট দরকার।

তিনি বলেন, আমি যে বিষয়টি বলতে চাচ্ছি, চারটি স্ট্র্যাটেজির প্রথম বিষয়টি হলো জঙ্গিবাদ বিস্তারে ভূমিকা রাখে যে বিষয় সেগুলোকে দমন করা। তার মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন—আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক। আমি যেটি তুলে ধরতে চাই সেটি হলো একাডেমিক। আমরা ২০০৭-০৮ সালে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলা টেররিজম নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনও জঙ্গি দমনে জাতিসংঘ ঘোষিত প্রথম স্ট্র্যাটেজির মানে হলো- আমাদের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা বিচ্ছিন্নভাবে সেটা করছি। অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যারা আছেন তাদের দায়িত্ব রয়েছে। এই বিষয়টা আরেকটু গোছাতে পারলে ভবিষ্যতে জঙ্গিদের এই পথে আসা কঠিন হবে। নিরুৎসাহিত হবে।

অতিরিক্ত আইজি আরও বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আমরা অনেকটা নিরাপদে ছিলাম। ২০১৬ সালে আবার বিচ্ছিন্নভাবে দেশকে অশান্ত করতে একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন গঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট গঠিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে ২২ সাল এই পাঁচ বছরে আমরা অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে সকলের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রমাণ করেছে। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড টেররিজমের লিস্টে আমাদের অবস্থান ছিল ২১তম। গত পাঁচ বছরে সেখান থেকে পিছিয়ে ৪০তম হয়েছি। অর্থাৎ আমাদের দেশে জঙ্গিবাদের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এটি সরকারের জঙ্গিবাদ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি এবং এটিইউসহ জঙ্গিবাদ দমনে নিয়োজিত সকল সংগঠন কার্যক্রমের ফল।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। এছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।