ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে: খালিদ মাহমুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে: খালিদ মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজ চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানা বড় হচ্ছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে।

বরগুনা ছিল সবচেয়ে দরিদ্র জেলা। সেই বরগুনার চেহারা আজ বদলে গেছে। কুয়াকাটার চেহারা আজ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন গেলে চিনতে পারবেন না এটা কোথায় এলাম। আজ সড়ক যোগাযোগ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যুক্ত হয়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে ডেক ও ইঞ্জিন শ্রমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল আটের ওপরে। অনেকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আমাদের তরুণরা কাজ পায়নি। আমাদের দারিদ্র্যকে বিক্রি করা হয়েছে। ধনী দেশ থেকে টাকা এনে তারা বড়লোক হয়েছে। বাংলার মানুষ ধনী হয়নি। এসকল দারিদ্র্য বিক্রি করে ব্যাংক হয়েছে, অনেকে নোবেল পুরস্কার নিয়ে এসেছে। কিন্তু দারিদ্র্য দূর হয়নি। শেখ হাসিনা তা করে দেখিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা স্বাধীন না হলে বাংলাদেশে কোন মেরিন অ্যাকাডেমি থাকত না। সব থাকত পাকিস্তানে। এ স্বাধীনতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু মেরিন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তারপর আর কোনো মেরিন অ্যাকাডেমি বাংলাদেশে হয়নি। আজ শেখ হাসিনা আরও চারটি মেরিন অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং আরও তিনটি প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি চলছে।

কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর যেটা দিয়ে আসাম ভূটানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সেখানে আমরা আরেকটি এনামাই প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। অতীতে কোনো সরকার এমন পদক্ষেপ নেয়নি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্য করা হয় এ যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে কিছু ছিল না। সে অবস্থায় জাতির পিতা বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। শেখ মুজিব বলেছিলেন, আমার মাটি আছে আমার মানুষ আছে। এ বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ হবেই। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেড়শ আইন তৈরি করেছিলেন। আজ বঙ্গোপসাগরে যদি আমরা অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারতাম তাহলে উপকূলেই ঘোরাঘুরি করতে হত। ভারত মিয়ানমারের সার্টিফিকেট নিয়ে সমুদ্র পথ ব্যবহার করতে হত। আজ শেখ হাসিনা আমাদের জন্য সমুদ্র পথের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে অন্য দেশের পরিচয়ে হজ্জ করতে হতো। বঙ্গবন্ধু সৌদি বাদশার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি কোনো সাহায্য দান-দক্ষিণা না চেয়ে সৌদি বাদশাহকে হতভম্ব করে দিয়ে তিনি বলেছিলেন আমি কোনো সাহায্য নিতে আসিনি। আমার সিংহভাগ মানুষ মুসলমান। তাদের হজ্জ করার অধিকার নিতে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রাচ্যের ড্যান্ডি নারায়ণগঞ্জের ব্যাবসা বাণিজ্যও স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে আবারও নারায়ণগঞ্জ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দক্ষ একজন পাইলট আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এমআরপি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।