ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় শ্রমিককে দলগত ধর্ষণ, আটক ২ মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
পাবনায় শ্রমিককে দলগত ধর্ষণ, আটক ২ মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে

পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুরে কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শ্রমিককে দলগত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

তবে ঘটনার মূলহোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রোববার (৬ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।  

এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বলরামপুরের ইন্ট্রাফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির পেছনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইন্ট্রা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফ্লোর সুপারভাইজ হিসেবে কাজ করেন শ্যামলী খাতুন (ছদ্মনাম)। প্রতিদিন কাজ শেষে কারখানার আরেক কর্মী সাব্বিরের সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু শুক্রবার সাব্বিরকে আগেভাগেই ছুটি দেন কারখানার আরেক সুপারভাইজার শাহ আলম। সাব্বির বিকেলে বাড়ি ফেরায় এদিন রাত ৯টার দিকে একাই বাড়ি ফিরছিলেন শ্যামলী। এসময় শাহ আলম তাকে বাড়ির পথে এগিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার সঙ্গে রওনা হন। কিছু দূর গিয়ে নির্জন স্থানে প্রথমে শাহ আলম তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং অনৈতিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। এসময় শ্যামলী তাকে ধাক্কা দিলে শাহ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং একটু দূরে গিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলেন। এর মাত্র ১-২ মিনিটের মধ্যেই সেখানে আরও ৭-৮ জন যুবক এসে তাদের ঘিরে ধরেন।

যুবকরা প্রথমে শ্যামলীর গলা ধরে আরেকটু জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। এসময় শ্যামলী চিৎকার দিতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে খবর দিয়ে সেখানে হাজির করা হয় সাব্বিরকেও। সাব্বির ও শাহ আলমকে আটকে রেখে শ্যামলীর গলায় ছুরি ধরে তাকে কয়েকজন নিয়ে যান ইন্ট্রার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পেছনে। সেখানে ২-৩ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের নাম-ঠিকানা কিছু পেয়েছি। তাদেরও গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ অন্যদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলরামপুরের ছাত্তার মেম্বারের ছেলে বাদশা, দলু খাঁর ছেলে আতিয়ার, রশিদ মুন্সির ছেলে রাজিব, আমজাদ খাঁর ছেলে মনির, শুকুর ধুরার ছেলে আশরাফ, বশির শেখের শেখ সাদী ও কাসেম শেখের ছেলে সাঈদ শেখ। তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার পর থেকেই তারা লাপাত্তা।

স্থানীয় মেম্বার রবিউল ইসলাম রবি জানান, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যেই তাদের চিহ্নিত করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছি। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ঘটনার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।