অধিকাংশ শিশুরাই মনে করে তাদের মায়েদের চেয়ে নানু কিংবা দাদু অনেক ভালো। মায়ের সঙ্গে যতটা না কাটাতে ভালোবাসে দাদীমা কিংবা নানীমার সঙ্গে তাদের কাটে তার চেয়েও অনেক মধুর সময়।
গবেষণায় দেখা গেছে ৫২ শতাংশ শিশুই তাদের দাদী-নানীর বড় ভক্ত। আর প্রতি দশ জন মায়ের মধ্যে একজন মা রীতিমতো পরিবারে শিশুদের ওপর তাদের শাশুড়িরে প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। শিশুদের মধ্যে ৭৯ শতাংশই বলেছে তারা দাদীর ভক্ত কারণ সেখানে তারা প্রশ্রয় পায়, ৫০ শতাংশ বলেছে তাদের দাদী তাদের মতো করেই ভাবে, আর ২০ শতাংশ মনে করে দাদীর রান্না ভালো।
মায়েদের ২০ শতাংশই স্বীকার করেছেন তাদের শিশুরা তাদের চেয়ে দাদীর সঙ্গেই বেশি থাকতে চায়। প্রায় অর্ধেক মা বলেছেন শিশুরা মায়ের চেয়ে বেশিই দাদীর পক্ষ নেয়। আর এক তৃতীয়াংশ মা বলেছেন, দাদীর প্রতি সন্তানদের বেশি আগ্রহে তারা আহত হন।
যুক্তরাজ্যের নতুন ওয়েবসাইট ফেমিলিজঅনলাইন.কো.ইউকে রোববার জাতীয় গ্র্যান্ডপ্যারেন্টস ডে উপলক্ষ্যে এই গবেষণা ফল প্রকাশ করেছে।
ওয়েবসাইটটির মুখপাত্র ফায়ে মিঙ্গো বলেন, দাদী নানীদের জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর যে তাদের নাতি-নাতনীরা তাদের সঙ্গ খুব পছন্দ করে। আসলে নানী-দাদীর সঙ্গে নাতি-নাতনীদের সম্পর্কটি ভিন্ন কিছু, আর এ নিয়ে মায়েদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
তবে সন্তানের সঙ্গে তাদের মায়ের যে বন্ধন তার চেয়ে শক্তিশালী আর কিছুই হতে পারে না। আর সেটা বোঝা তখনই যখন শিশুরা বড় হয়ে ওঠে, বলেন এই গবেষক।
তিনি বলেন, আমরা জানি আধুনিক কর্মময় জীবনে অনেক বাবা-মা-ই তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারেন না। আর সে কারণে শিশুরা যাদের কাছে বড় হয়, যাদের সঙ্গে সময় কাটায় তাদেরকে বেশি ভালোবাসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
এমএমকে