ঢাকা: কাজ করতে কুকুর নিয়োগ স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অনেক কোম্পানি এখন তাদের কর্মীদের অফিসে সঙ্গ দিতে মানুষের সবচেয়ে ভালো এই বন্ধুটিকে রাখার অনুমতি দিচ্ছে।
একটি ভালো-ভদ্র, বন্ধুত্বপূর্ণ কুকুর সেরা সঙ্গী বলেও বিবেচিত হচ্ছে একজন কর্মীর জন্য। সে সঙ্গে থাকলে কাজে-কর্মে কর্মীটি ভালো করছেন। অফিসের কাজের পরিবেশও ভালো থাকছে। ডেস্কের কাজের পরিবেশ ব্যাহতকারী সহকর্মীর সঙ্গে কুকুর সঙ্গীদের কাজের গুণগত মানের পার্থক্য তৈরি হচ্ছে।
পেটব্রিডস্ নামক পোষাপ্রাণী গবেষণার একটি সাইট অফিসের কাজে সঙ্গ দিতে যুৎসই কুকুর বাছাই করেও দিচ্ছে। এনিম্যাল প্লানেট ও আমেরিকান কুকুর ক্লাব থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে কুকুরদের জন্য একটি মাপকাঠিও তৈরি করেছে গ্রাফিক নেটওয়ার্কটি।
একটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের সঙ্গে কোন কুকুরটি কতোটুকু মানানসই, তা নির্ধারণ করা হচ্ছে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত ‘কাজ স্কোর’ পরিমাপ দিয়ে।
আটটি সমান মানদণ্ড বিবেচনা করে গৃহপালিত প্রাণীটিকে নম্বর দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- বাধ্যতার স্তর, ঘেউ ঘেউ আওয়াজ করার প্রবণতা, শক্তির স্তর, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ক্ষমতা, সুরক্ষা ক্ষমতা, অপরিচিতদের দিকে বন্ধুভাবাপন্নতা, স্খলন এবং স্নেহ স্তর। প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে অফিসসঙ্গী কুকুর বাছাইয়ের এ প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর সন্তুষ্টিও অর্জন করেছে।
তবে, এটা লক্ষ্যণীয় যে, কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কোনো কুকুর কাজের স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৮০ নম্বর পেলে সে অফিস জীবনের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। কুকুরের বয়সও এ ক্ষেত্রে একটি পার্থক্য নির্ধারণ করে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, প্রশিক্ষণবিহীন একটি আনকোরা কুকুর ছানাকে অফিসে সঙ্গ দিতে আনা ভালো হবে না, যদি তার কাজের স্কোর ভালোও হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
এএসআর/