পৃথিবীতে একসময় দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছে বৃহদাকায় প্রাণী ডাইনোসর। সেটা প্রায় ১৬০ মিলিয়ন বছর আগের কথা।
গত আগস্টে চীন এবং মঙ্গোলিয়ার দক্ষিণাংশে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় মরুভূমি গোবি মরুভূমিতে ডাইনোসরের সর্ববৃহৎ পায়ের ছাপের সন্ধান মিলেছে। এ আবিস্কারের ফলে প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীটির আচরণ সম্পর্কে জানা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
পায়ের ছাপটি টাইটানোসর প্রজাতির। টাইটানোসর পৃথিবীর বড় বড় ডাইনোসর প্রজাতির মধ্যে একটি।
এ পর্যন্ত পাওয়া সর্ববৃহৎ এ পদচিহ্নের পরিমাপ ১০৬ সেমি দীর্ঘ ও ৭৭ সেমি চওড়া। ৭ কোটি থেকে ৯ কোটি বছর আগে গঠিত একটি ভূতাত্ত্বিক স্তর থেকে এটি আবিস্কৃত হয়।
এ ছাপের সাহায্যে ডাইনোসরের সামাজিক আচরণের পাশাপাশি হাঁটার শৈলী বুঝতে পারবেন বলেও আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
জাপানের ওকাইমা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সিনোবু ইশিগকি এবং তার দল মঙ্গোলীয় বিজ্ঞান একাডেমির সহযোগিতায় এ আবিস্কারটি করেন।
‘প্রথমত, এটি আমাদের ডাইনোসরের অঙ্গবিন্যাস প্রদর্শন করছে। আমরা আরো খনন চালিয়ে যাবো। তাহলে আমরা সে কিভাবে হাঁটতো, সে সম্পর্কে আরো জানতে সক্ষম হবো’- বলেন অধ্যাপক সিনোবু ইশিগকি।
‘যখন নরম মাটিতে ডাইনোসরটি হাঁটিছিল, তখন তার পদচিহ্ন পড়ে’।
দীর্ঘ গ্রীবাবিশিষ্ট দৈত্যাকৃতির একটি বৈচিত্র্যময় গ্রুপ ছিল এই টাইটোনসর। তারা ৩০ মিটারের বেশি দীর্ঘ এবং ২০ মিটার লম্বা ছিল বলে ধারণা করা হয়।
একই স্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসরের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন পদচিহ্নও পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক সিনোবু ইশিগকি বলেন, ‘টাইটানোসরের পায়ের ছাপটিই আমাদেরকে দেখাতে পারে, সামাজিক আচরণ। কারণ, অন্য তিনটি পদচিহ্নের একই দিকে হাঁটার লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারা একই প্রজাতির ডাইনোসরের অন্তর্গতও নয়’।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এসজে/এএসআর/এএ