দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানি পাইলটরা মার্কিন বাহিনীর ওপর আত্মঘাতী হামলা চালাতেন। ফাইটার প্লেন নিয়ে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবার সময় নিজেরা মরতেন এবং নিজেদের প্লেনকেও ধ্বংস করে দিতেন।
ছোট আকারের এই ট্যাংক আসলে এক রোবো-ট্যাংক বা রোবট ট্যাংক। এই ট্যাংকে কোনো মানব-আরোহী থাকবে না। এই কামিকাজি রোবো-ট্যাংক প্রায় নিঃশব্দে শত্রুবাহিনীর ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার খুব কাছে গিয়ে সেগুলোকে নির্ভুল নিশানায় গুঁড়িয়ে দেবার কাজ করবে। সফল অপারেশন শেষ করার পর এই রোবো-ট্যাংক নিজের ভেতরে মজুদ বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেই নিজেকে ধ্বংস করে দেবে।
অল্পদিনের মধ্যেই এই অত্যাধুনিক ট্যাংক রাশান আর্মি স্কাউট ও স্পেশাল অপারেশন বাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইজভেস্তিয়া।
এই ‘কামিকাজি রোবো-ট্যাংক’ অনায়াসে এবড়ো-খেবড়ো রাস্তাতেও অন্যসব ট্যাংকের মতোই পথের যে কোনো বাধা ডিঙিয়ে-গুঁড়িয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম। তবে অন্যসব ট্যাংকের মতো বিকট কোনো আওয়াজ করবে না। বরং এটি হবে একদমই নিঃশব্দ। ফলে আক্রান্ত হবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই মিনিয়েচার ট্যাংকের অস্তিত্ব শত্রু ঘূর্ণাক্ষরেও আঁচ করতে পারবে না। অনেকটা নিঃশব্দ যমদূতের মতোই শত্রুশিবিরে হানা দেবে এটি।
রাশিয়ার কোভরভ শহরের দেগতিয়ারেভ কারখানা তৈরি করেছে এই ট্যাংক। যুদ্ধে ইতিহাসে এ ধরনের ট্যাংক এটাই প্রথম। এই ট্যাংকের ওজন হবে মাত্র ৩০০ কিলোগ্রাম। এটির দৈর্ঘ্য হবে এক মিটারের সামান্য বেশি। কয়েকশ’ কিলোগ্রাম অতি উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক নিয়ে ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে এটি নিঃশব্দে শত্রুশিবিরপানে এগিয়ে যাবে। পরে খুব কাছে থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। রুশ জেনারেলদের কেউ কেউ এরই মধ্যে একে ‘রুশ বাহিনীর রোবট-বাহু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
জেএম/আরআই