অবশেষে আশা পূরণ হলো। ১০২ বয়সে তাকে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেলো।
আর পুলিশ যেদিন তাকে ধরতে এলো, হাতে পরালো হাতকড়া, তখন সিমসের মুখে সেকি হাসি! পুলিশ দলও ছিলো আনন্দিত।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস পুলিশের ইতিহাসে আসামি ধরে নিয়ে যাওয়ার এমন মধুর ঘটনা আর নেই। যা ঘটলো গত ৩০ সেপ্টেম্বর।
সিমস জীবনে কোনো অপরাধ করেননি। তাই কখনো গ্রেফতারও হননি। কিন্তু বয়স্ক অপরাধীদের আটকে রাখার যে সিনিয়র সেন্টার, সেটির সঙ্গে ছিলো তার অন্তরের যোগাযোগ।
সেখানে তিনি প্রায়শই এটা ওটা অনুদান দিতেন। বালিশ, কম্বল, স্কার্ফ এগুলো দিয়ে আসতেন। আর মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করতেন আহা! আমিও যদি হতে পারতাম এই সিনিয়র সেন্টারের বাসিন্দা!
পুলিশও খুব চাইছিলো একদিন ধরে নিয়ে যাবে এই বৃদ্ধাকে। অবশেষে মিললো সেই সুযোগ।
জেলের পথে একদল রিপোর্টার ঘিরে ধরেছিলো এডি সিমসকে। সেই সুযোগে গুটিকয় উপদেশ বাণী শুনিয়ে দিলেন তিনি।
‘তোমরা এগিয়ে যাবে। যা কিছুই করো না কেন তা নিয়েই তোমরা এগোবে। আর যখনই সুযোগ পাবে কমিউনিটির কিছু সেবায় মনোনিবেশ করবে। ’
‘কখনো কখনও কারও সঙ্গে তুমি কথা বলবে, এমনও হতে পারে সারাদিনে সে মোটে তোমাকেই পেয়েছে দুটো কথা বলার জন্য। অতএব তাদের কথা শুনবে’ বলেন তিনি।
সিনিয়র সেন্টারে অপরাধীদের মধ্যে এই বসবাস নিশ্চিত করতে পেরে সিমস বেজায় খুশি। আর তাকে অাটক করা হয়েছে বিঙ্গো খেলার অপরাধে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এমএমকে/এএ