‘র্যাগস টু রিচেস’– ইংরেজি এই কথাটার মানে বুঝিয়ে বলবার দরকার নেই। দীনহীন অবস্থা থেকে হঠাৎ বড়লোক বা কেউকেটা বনে যাওয়া বোঝাতে বলা হয়ে থাকে এই বাক্যবন্ধ।
এরপর যা ঘটেছে তাকে শুধু স্বপ্নের সঙ্গেই তুলনা দেওয়া চলে। লাজুক স্বভাবের আরশাদ নিজের এই হঠাৎ-খ্যাতির বিড়ম্বনায় এতোটাই বিব্রত ও ভীত হয়ে পড়ে যে, সে চা-দোকান বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। পালিয়ে যাবার কারণ, মনে করেছিল- সে কোনো অন্যায় করে ফেলেছে, তাই লোকে তার পেছনে লেগেছে।
হালকা সবুজ চোখের আরশাদ যে অন্যায় কর্ম নয়, বরং পরিশ্রম, সততা ও সারল্যের কারণে সামাজিক মাধ্যম জয় করেছে সেটা সে নিজে একদমই বুঝতে পারেনি। পরে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজন তাকে অনেক চেষ্টা করে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, তার ছবিই তাকে পাকিস্তানসহ সারাবিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
এরপর তার কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়তে থাকে বিভিন্ন পোশাক ও ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান। আরশাদ রাতারাতি বনে যায় পাকিস্তানের হট মডেল, "Chai wala is no more chai wala, now he is fashion wala,"
তাকে নিয়ে একটি পত্রিকার শিরোনাম, ‘‘Pakistani tea seller turns model after fame on social media’’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অতি-রক্ষণশীল মারদান শহরের বাসিন্দা আরশাদের ভাই-বোন ১৭ জন। তাই সে এখন তার দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায়। দাঁড়াতে চায় পাকিস্তানের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসহায় বিপন্ন মানুষের পাশে। যারা টাকার অভাবে পড়তে পারছে না, তাদের দিকে বাড়াতে চায় সহায়তার হাত।
লেখাপড়া তার ভাগ্যে না জুটলেও সামাজিক মাধ্যমে ছবি আপলোড হওয়ার সুবাদে তার কপালে যা জুটেছে, তা কোনো রাজার ভাগ্যেও জোটে না!
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
জেএম/এসএনএস