মানুষের মনে কতো না ইচ্ছে জাগে। ইচ্ছাটি যদি অযৌক্তিক হয় তাহলে সে ইচ্ছা আর পূরণ হয় না।
কারণে-অকারণে আকাশ-কুসুম কল্পনায় মেতে ওঠে মন। এদিকটায় শিশুরা বড়দের চেয়ে ঢের এগিয়ে। শিশুমন উড়ে চলে কল্পনার অলীক যানে চেপে।
আপাত অবাস্তব ইচ্ছাপূরণের সুযোগও কিন্তু ঘটে যায় মানুষের জীবনে। ছোট্ট এক ব্রিটিশ মেয়ের মনেও জেগেছিল অদ্ভুত এক ইচ্ছে। আর সে ইচ্ছা পূরণও হয়েছিল। কিন্তু তাতেই বিপত্তি।
বড়দের সঙ্গে পোতাশ্রয় দেখতে গিয়েছিল সে। বড়রা যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত, সে তখন ব্যস্ত জাহাজ দেখায়। পোতাশ্রয়ের কাছে নোঙর করে রাখা এক বিশাল বড় জাহাজ দেখতে পেয়ে তার মনে অদ্ভুত ইচ্ছে জাগলো। সে চাইলো, জাহাজটি যেনো তার জন্য ভেঁপু বাজায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। জাহাজের নাবিকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে ইশারায় সে তার ইচ্ছে প্রকাশ করতে লাগলো।
প্রথমে নাবিকরা ওর অনুরোধকে স্রেফ শিশুর মনের খেয়াল বলে এড়িয়ে যান। তবুও নাছোড়বান্দা মেয়েটির ক্রমাগত পীড়াপীড়ি দেখে জাহাজের লোকেরা অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন, এ যাত্রা শিশুটির মনের খায়েশ তারা পূরণ করবেন। করলেনও সেটা, টানা ২০ সেকেন্ড ধরে জাহাজের বিকট শব্দের ভেঁপুটি বাজালেন তারা। কিন্তু মেয়েটির জন্য তা হয়ে উঠলো হরিষে বিষাদ।
ভেঁপুর কানফাটানো শব্দে রীতিমতো ভড়কে গিয়ে সে তখন ভয়ে ‘দে দৌড়, দে দৌড়’। আশেপাশে থাকা বড়রা তখন তাকে নিয়ে করছিলেন হাসাহাসি। এদিকে তার প্রাণ খাঁচাছাড়া। মেয়েটির ভয়ার্ত এই অবস্থাটিকে ফুটিয়ে তুলতে Trinity Mirror নামে একটি সংবাদমাধ্যম লিখেছে, ‘‘This is when she immediately regrets her decision’’। আর প্রতিবেদনের শিরোনাম তারা করেছে, ‘‘Little girl gets fright of her life when she asks ship to toot horn’’
‘‘Poor girl, she'll probably be scared of boats for life after this’’- একথাও লিখতে ভোলেনি পত্রিকাটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
জেএম/এসএনএস