ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

হাঁটার ধরনে ব্যক্তিত্বের আংশিক প্রকাশ! 

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
হাঁটার ধরনে ব্যক্তিত্বের আংশিক প্রকাশ!  ছবি: সংগৃহীত

আমরা প্রায়ই মনে করি, কারও হাঁটার ধরন দেখে তার ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারি। কিন্তু এ অনুমানের অনেক ক্ষেত্রেই ভুল হয়।

তবুও কেউ কোনো কিছু আড়াল করার চেষ্টা করলে তার হাঁটার ধরনে তা প্রকাশ পেতে পারে।
 
মনোবিজ্ঞানীরা এক শতাব্দীর তিন চতুর্থাংশ ধরে এ অনুমান নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাদের এ গবেষণার ফলাফল বলছে, হাঁটা মূলত দুই ধরনের- তারুণ্যদীপ্ত বা অকপট ও প্রবীণের ভঙ্গি বা আলগা শৈলী।   
 
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের অধিকাংশেরই অন্য মানুষের হাঁটার শৈলী দেখে তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করার ঝোঁক রয়েছে। কিন্তু চলাফেরার ভঙ্গির উপর ভিত্তি করে কারও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা সবসময় সম্ভব নয়।

কিন্তু কীভাবে এ ধারণাগুলোকে সঠিক করা যেতে পারে? আর অন্য কি বৈশিষ্ট্য কারও হাঁটার ধরন থেকে প্রকাশ পেতে পারে? 
জার্মান বংশোদ্ভূত মনোবিজ্ঞানী ভের্নার উলফের এ বিষয়ক প্রথম গবেষণা এসব প্রশ্নের উত্তর যোগাতে সহায়তা করে। ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত এ গবেষণার ফলাফল বলছে, কারও হাঁটার গতিতে দাম্ভিকতার মাধ্যমে কেউ যখন কোনো মূল্যে মনোযোগ লাভ করতে চান, সচেতন ও ইচ্ছাকৃত আত্মগর্ব, প্রশংসিত হতে উৎসুক, ভেতরে ভেতরে অনিরাপদ কিন্তু অন্যদের কাছে নিরাপদ বলে প্রদর্শিত করার চেষ্টা করেন- সেসব কিছু প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ, তিনি কোনো কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন।  

হাঁটার স্পন্দনের ওপর গবেষণা পদ্ধতিকে ব্যবহার করে ১৯৮০ সালে মার্কিন মনোবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, হাঁটার গতি কারও প্রকৃত বয়স অনুমান করতে সহায়তা করে না, যা তাদের মুখমণ্ডল ও শরীরে প্রকাশিত হয়।

এ ধরনের গবেষণায় আরও দেখা যায়, মানুষের হাঁটার উপর ভিত্তি করে আমরা অন্যদের সম্পর্কে মতামতে উপনীত হই। কিন্তু গবেষণায় এ অনুমান সঠিক কি-না তার সুরাহা হয়নি।  
কয়েক বছর আগে প্রকাশিত একটি ব্রিটিশ ও সুইস গবেষণায় বলা হয়েছে- আমরা একজনের হাঁটার ভঙ্গির চেয়ে মুখের ভঙ্গি দেখেই তার সম্পর্কে বেশি মাত্রায় সঠিক ধারণা করতে পারি।
 
২০০৬ সালে প্রকাশিত নারীদের চলাফেরার ভঙ্গির উপর জাপানি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, অন্তর্মুখী ও মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে লোকে নারীকে মেশাতে চান। কিন্তু নারী প্রবৃত্তিগতভাবে কম নিরাপদ পরিবেশের মধ্যে অকপট, লম্বা, দীর্ঘ ও সাহসী বা নিরুদ্বেগ হাঁটার শৈলী অবলম্বন করে। কিন্তু মনোবৈজ্ঞানিকদের ব্যক্তিত্বে প্রোফাইলের পরীক্ষা বলে, এটা কোনো সুস্পষ্ট অর্থ নির্দেশ করে না।
 
কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আপনি আপনার হাঁটার শৈলী অভিযোজিত করতে পারেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এএসআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।