ভুলোমন মানুষকে নিয়ে অন্যরা হাসিঠাট্টা করতে ছাড়ে না। এসব মানুষকে ইংরেজিতে মজা করে ‘অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড প্রফেসর’ বলে ডাকা হয়।
ওইদিন তিনি গিয়েছিলেন রাজধানী সান্তিয়াগোর মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট দিতে। ভোট দেবার পর কেন্দ্র ছাড়েন। এক সময় তার ঠাহর হয় যে ভোটকেন্দ্রে তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রটি (এনআইডি কার্ড) ফেলে এসেছেন। অগত্যা তাকে ফিরে যেতে হয় ভোটকেন্দ্রে। এরপর তার মনে পড়ে যায় যে, তিনি রেজিস্ট্রি বুকে স্বাক্ষর না করেই চলে এসেছেন। কী আর করা! আবার তাকে ছুটতে হয় ভোটকেন্দ্রে।
দু’দুবার ভুলোমনের পরিচয় দেবার পর কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা তাকে ছেঁকে ধরেন। কিন্তু প্রেসকে সামলাবার কায়দা তার বেশ ভালোই জানা। ঝানু রাজনীতিক এই নারী প্রেসিডেন্ট নিলেন রসিকতার আশ্রয়: ‘আমি আপনাদের সবাইকে কতো না মিস করি!’
অবশ্য পরে তিনি ব্যাখ্যা দিলেন, পোলিং বুথে দায়িত্বরত কর্মী নাকি তাকে দেখে এতোটাই ঘাবড়ে যান যে, স্বাক্ষরের জন্য রেজিস্ট্রি বুক এগিয়ে দিতে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় পত্র-পত্রিকাগুলো প্রেসিডেন্টের এই ভুলোমন অবস্থাকে নিয়ে মজা করতে ছাড়েনি। তবে জাতীয় পত্রিকা ‘লা তারসেরা’ প্রেসিডেন্টের এই ভুলোমন-ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘বিব্রতকর’ বলে উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
জেএম/আরআই