অনেক তরুণীই এখন মৎস্যকন্যা হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে। বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনাকে মিশিয়ে মৎস্যকন্যা তৈরির স্কুলও চালু হয়েছে নেদারল্যান্ডে।
ডিজনির প্রিন্সেস এরিয়েল দুই দশক আগে বড় পর্দায় প্রথমবারের মতো মৎস্যকন্যা হয়েছিলেন। এরপর থেকে অল্পবয়সী মেয়ে এবং কিছু ছেলেদের কাছে মৎস্যকন্যা হওয়া স্বপ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন ‘ক্রিস্টাল মৎস্যকন্যা’ হিসেবে পরিচিত এরিয়েল নেদারল্যান্ডের স্কুলটিতে একটি বাড়তি বিষয় যোগ করেছেন। সাঁতার ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনাকেও যুক্ত করছেন।
কল্পনায় হবু মৎস্যকন্যারা দেখে, ‘একটি সৌম্যকান্তির ফিরোজা ও সোনালি রঙের লেজ নাড়িয়ে অদ্ভুত সুন্দর একটি প্রাণী পাবলিক সুইমিং পুলে জলকেলি করছে। পৃষ্ঠ সাঁতারে পানিতে ঢেউ তুলে মজা করছে। মাঝে মাঝে তার মুখোশ এবং শ্বাস নেওয়ার নল খুলে গেলে দেখা যায়, সে অর্ধেক মানবী আর অর্ধেক মাছ’।
‘এটা খুবই চমৎকার, প্রত্যেক ছোট্ট মেয়েরই স্বপ্ন’- হাসিমুখে বলছিলো তারকাময় চোখের অধিকারী ২৭ বছরের ম্যারিজকে পাই।
ম্যারিজ ছাড়াও লিজি ও কাট্জা নেদারল্যান্ডের ক্রিস্টাল মৎস্যকন্যার স্কুলের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এটা দেশটির মৎস্যকন্যা তৈরির প্রথম ও ইউরোপের অল্প ক’টির মধ্যে একটি পেশাদার স্কুল। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘মৎস্যকন্যা বিদ্যা’র সূচনা হওয়ার পর এখানে ছড়িয়ে পড়েছে।
নেদারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহর জেইস্টের পাবলিক সুইমিং পুলে হবু মৎস্যকন্যারা তাদের পায়ে দৃঢ়ভাবে আঁটা লেজ নাড়িয়ে প্রিন্সেস এরিয়েলের মতো করে সাঁতার কাটা শিখছে।
মারিজকে পাই বলেন, ক্রিস্টাল মৎস্যকন্যা এরিয়েলের সব কৌশল এখানে শেখানো হয়। নড়াচড়া পেট থেকে শুরু হয়। তারপর পা দু’টিকে একসঙ্গে রাখা, হাঁটু অত্যধিক বাঁকা না করা এবং পেটের পেশিকে ব্যবহার করতে শেখানো হয়।
একটি মৎস্যকন্যা এমনকি একটি মৎস্যপুরুষ হয়ে উঠতে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
এএসআর/এটি