৩০০ টন গাজর মজুদ করায় একজন নাগরিককে আটক করা হয়েছিল তাইওয়ানে। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর ৩ হাজার ১৬০ ডলারে জামিন নিতে হয়েছে তাকে।
তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজরের দাম চড়িয়ে উচ্চহারে মুনাফা করতেই নিপূণভাবে এ মজুতদারি করা হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে পর পর শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হানে তাইওয়ানে। এর প্রভাবে দেশটির ফল ও শাক-সবজি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেগুলোর দাম হু হু করে বাড়ছে।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কেয়াহ্স্ফুংগের একটি কোল্ডস্টোরেজ গুদাম থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গাজরগুলো জব্দ করেন তদন্তকারীরা। বাইরে থেকে বোঝা যায় না, এমনভাবে গুদামটির ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত স্তুপীকৃত অবস্থায় গাজরের কার্টনগুলো পাওয়া যায়।
চিয়াং পদবিধারী অভিযুক্ত মজুতদারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। এরপর তাকে কেয়াহ্স্ফুংগের চিয়াওতৌ জেলা প্রসিকিউটরের জিম্মায় ৩ হাজার ১৬০ ডলারের বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে।
চিয়াং- এর জামিনে মুক্তির পর প্রসিকিউটর বিবৃতিতে বলেন, ‘টাইফুন বেশ কিছু সময় আগে আঘাত হানলেও সবজি, ফল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম এখনো বাড়তি। আমরা সন্দেহ করছি, এ জালিয়াতি দাম প্রভাবিত করতে করা হয় এবং এটির সঙ্গে মানুষের স্বার্থ জড়িত’।
‘অন্য কেউ বাজারে পণ্যমূল্য চড়ানোর চেষ্টা করছেন কি-না, তা খতিয়ে দেখতে নজরদারি অব্যাহত রাখবেন তদন্তকারীরা’।
স্থানীয় দৈনিক অ্যাপল- এর কাছে নিজেকে গাজরের উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা বলে দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিয়াং। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ সারা বছর ধরে বিক্রি করার জন্য তিনি প্রায় ১ হাজার ৫০০ টন গাজর কিনে রেখেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে অবশিষ্ট ছিল ওই ৩০০ টন। এতো অল্প পরিমাণকে মজুদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় বলেও দাবি করেন চিয়াং।
গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তাইওয়ানে টাইফুন মেগি আঘাত হানে। ফিরতি যাত্রায় তা সুপার টাইফুন মিরান্তে পরিণত হয়ে আরও শক্তিশালী আঘাত হানে। ফলে কেয়াহ্স্ফুংগের মতো দেশটির দ্বীপাঞ্চলের কৃষিখাতে প্রায় ১০৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।
দ্বীপটির কৃষি কাউন্সিল বলছে, দাম স্থিতিশীল করতে গত সপ্তাহে গাজরের আমদানি বাড়ানো ও বাজারে আরও সরবরাহ করতে কৃষকদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এএসআর