১৯৭০ সালের পর থেকে বিশ্বের বন্যপ্রাণীদের ৫৮ শতাংশই হারিয়ে গেছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
লন্ডনের জুওলজিক্যাল সোসাইটি (জেডএসএল) ও বিশ্ব বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনের বিশ্ব জীববৈচিত্র্য মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিতে আশঙ্কা করা হয়েছে যে, বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত না হয়ে গেলেও তাদের সংখ্যা কমে গেছে।
আর চলতি দশকের শেষ নাগাদ দুই-তৃতীয়াংশ মেরুদণ্ডী প্রাণীরই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বের বন্যপ্রাণীদের অবস্থা মূল্যায়নে প্রতি দুই বছর পর পর প্রকাশিত হয় বিশ্ব জীববৈচিত্র্য মূল্যায়ন প্রতিবেদন।
২০১৪ সালে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে গত ৪০ বছরে বিশ্বের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা অর্ধেক কমে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পাখি, মাছ, স্তন্যপায়ী, উভচর ও সরীসৃপদের ৩ হাজার ৭০০ প্রজাতির তথ্য সংগ্রহ করে গবেষকরা জেনেছেন, বিশ্বের মোট বন্যপ্রাণীর প্রায় ৬ শতাংশ মেরুদণ্ডী প্রজাতির। ১৯৭০ সাল থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যা কমছিল। এখন প্রতি বছর মেরুদণ্ডী প্রাণীর গড়ে ২ শতাংশই হারিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞান ও নীতি বিভাগের প্রধান ডা. মাইক ব্যারেট জানান, বন্যপ্রাণী বাণিজ্য ও তাদের বাসস্থান ধ্বংস এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণসহ মানুষের অপতৎপরতার কারণে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ড. ব্যারেট বলেন, ‘প্রাণীদের কিছু প্রজাতি অন্যদের চেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে। যেমন, চোরাশিকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপুল সংখ্যক আফ্রিকান হাতি হারিয়ে গেছে, মাত্রাতিরিক্ত শিকারে হুমকির মুখে আছে হাঙ্গরও। ১৯৭০ সাল থেকে শুধু স্বাদুপানির বিভিন্ন প্রজাতিই হারিয়ে গেছে ৮১ শতাংশ। এ পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে, হ্রদ, নদী ও জলাভূমির প্রাণীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে’।
স্বাদুপানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও বাঁধ দিয়ে জলজ প্রাণী এবং অবৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য বৃদ্ধিকে স্থলজ বন্যপ্রাণী কমার জন্য দায়ী করেছেন জেডএসএলের সূচক ও মূল্যায়ন ইউনিট প্রধান ড. রবিন ফ্রিম্যান। তিনি বলেন, ‘এসব প্রবণতায় বন্যপ্রাণী জনগোষ্ঠীতে প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
এএসআর/আরআই