ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

দিনে এক প্যাকেট সিগারেট লাগে শিম্পাঞ্জির

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
দিনে এক প্যাকেট সিগারেট লাগে শিম্পাঞ্জির

ঢাকা: উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের নতুন একটি চিড়িয়াখানার এক শিম্পাঞ্জি ধূমপানে আসক্ত। তাও একটি দুটি সিগারেট নয়, দিনে রীতিমতো এক প্যাকেট সিগারেট লাগে ওই শিম্পাঞ্জির।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে চিড়িয়াখানাটি নতুনভাবে চালু হয়। ইতোমধ্যে এটি মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী সেখানে ভিড় করে।
 
এবং সেই চিড়িয়াখানার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাণী হলো ধূমপানে আসক্ত ১৯ বছরের ‘ডাওলি’ নামে শিম্পাঞ্জিটি। প্রতিদিন এক প্যাক সিগারেট লাগে ওই নারী শিম্পাঞ্জির। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে এসব সিগারেট দেয়।
 
চিড়িয়াখানার এক প্রশিক্ষকের কাছ থেকে ডাওলি নিজ হাতে লাইটার থেকে আগুন জ্বালানো শিখেছে। তবে সিগারেট জ্বালানোর জন্য তার কাছে লাইটার দিয়ে রাখা হয় না, কারণ যে কোন সময় সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আশঙ্কায়।
 
মানুষের উপস্থিতিতে সাধারণত শিম্পাঞ্জিটি চুপচাপ থাকলেও, কখনও কখনও আগত দর্শকদের সঙ্গে হাস্য-রসে মেতে ওঠে কখনও আবার গর্জেও ওঠে। হাত ও মুখ নাড়িয়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গে সাড়া দেয় ডাওলি, কখনও হালকা নাচের মাধ্যমেও দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয় সে!
 
ওই শিম্পাঞ্জির কারণেই প্রতিদিন চিড়িয়াখানাটিতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। এছাড়া সেখানে হাতি, জিরাফ, পেংগুইন, বনরসহ অন্যান্য প্রাণীর খেলাধুলা দেখতেও মানুষ সেখানে বেড়াতে আসেন।
 
চিড়িয়াখানাটিতে কুকুরের একটি জনপ্রিয় প্যাভিলিয়ন রয়েছে, এটি বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। কারণ, ভেতরে এক মঞ্চে বানর, কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীর একসঙ্গে বাস্কেট বল খেলা, স্তম্ভের উপর বসে খেলা দেখানো, এমনকি তারা সেখানে স্কেটিং করেও মানুষকে আনন্দ দেয়।
 
২০১৪ সালে চিড়িয়াখানাটি নতুন রূপে চালু হয়। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ‍‌ওন’র উদ্যোগে এতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে। চিড়িয়াখানাটি মূলত ১৯৫৯ সালে নির্মিত হয়। কিম জং ‍‌ওনের দাদা ও দেশটির জাতীয় নেতা কিম ই সাং এটি নির্মাণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
টিএইচ/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।