ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

চীনাদের ‘গিট্টু সেতু’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
চীনাদের ‘গিট্টু সেতু’

টাকা থাকলে কী না হয়! চীনাদের বেলায় কথাটা আজকাল খুব খাটে। বিশ্বের সবচে তেজি অর্থনীতির জোরে চীনারা এখন নানাবিধ উদ্ভাবন ও নির্মাণযজ্ঞে মেতে উঠেছে।

টাকা থাকলে কী না হয়! চীনাদের বেলায় কথাটা আজকাল খুব খাটে। বিশ্বের সবচে তেজি অর্থনীতির জোরে চীনারা এখন নানাবিধ উদ্ভাবন ও নির্মাণযজ্ঞে মেতে উঠেছে।

এমনকি বিশ্বের সবচে বড় সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি আমেরিকাও চীনাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ওবামাকেও একাধিকবার চীনাদের নির্মাণযজ্ঞের প্রশংসা করতে শোনা গেছে।
 
চীনারা তাদের সব কাজেই ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল ঘটাচ্ছে। এবার চীনে এক অদ্ভুত গড়নের সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুটির আকার দেখতে অনেকটা গিট্টুর মতো। লাল রঙের এ সেতুটিকে বলা হচ্ছে ‘লাকি নট ব্রিজ’ বা ‘সৌভাগ্যের গিট্টু-সেতু’। চীনা ঐতিহ্যের শুভলক্ষণকে ফুটিয়ে তোলার প্রতীক হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে সেতুটিকে।  

msn.com একে সবচে অদ্ভুত গড়নের সেতু হিসেবে উল্লেখ করেছে তাদের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শিরোনামে: Is this the world's most unusual bridge?
 
চীনা সংস্কৃতিতে সৌভাগ্য ও শুভলক্ষণের অভাব নেই বলে উল্লেখ করতে গিয়ে তারা লিখেছে: Chinese culture has no shortage of symbols of good luck and fortune।

সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে চীনের চাংশা শহরে। ড্রাগন কিং নদীর উপরে নির্মিত সেতুটি ৬০০ ফুট দীর্ঘ। এর উচ্চতা ৭৮ ফুট। সেতুটির রং লাল। লাল চীনাদের কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক।

চীনের লোক সংস্কৃতিতে লাল দড়ি দিয়ে গিট তৈরি করার প্রচলন ছিল বলে এটির গড়নও গিট্টুর মতো। গিট বা গিট্টু চীনাদের কাছে সমৃদ্ধির প্রতীক।

সেতুটি এখন পর্যটকদের কাছে এক দর্শনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে। রাতের বেলায় সেতুটিকে ঘিরে যে নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি হয় তা সত্যিই দেখার মতো।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
জেডএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।