ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

উড়তে না পারা প্রাগৈতিহাসিক পাখি এমু 

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
উড়তে না পারা প্রাগৈতিহাসিক পাখি এমু  ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ও পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পাখি এমু টিকে আছে প্রাগৈতিহাসিক প্লেইস্টোসিন যুগ থেকেই। তবে আজকের ড্রোমোরনিস্‌ স্ট্রিটোনি প্রজাতির এমু তার পূর্বপুরুষ ড্রোমোরনিস্‌ ও বুলোকোরনিস্‌ প্ল্যানেই থেকে কিছুটা বিবর্তিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ও পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পাখি এমু টিকে আছে প্রাগৈতিহাসিক প্লেইস্টোসিন যুগ থেকেই। তবে আজকের ড্রোমোরনিস্‌ স্ট্রিটোনি প্রজাতির এমু তার পূর্বপুরুষ ড্রোমোরনিস্‌ ও বুলোকোরনিস্‌ প্ল্যানেই থেকে কিছুটা বিবর্তিত হয়েছে।

এমু পৃথিবীর উড়তে না পারা ৪০ প্রজাতির পাখির একটি। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাখি উড্ডয়ন ক্ষমতাহীন উট পাখির চেয়ে কিছুটা আলাদা। তবে শারীরিকভাবে পাতিহাঁস ও রাজহাঁসের সঙ্গে সম্পর্কিত।  

ড্রোমোরনিস্‌ ও বুলোকোরনিস্‌ প্ল্যানেইরাও পাতিহাঁস ও রাজহাঁস প্রজাতিরই ছিল, যারা এমু ও মানুষের আগমনের আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিলুপ্তি প্রাণীর তালিকায় চলে যায়।  
 

আধুনিক এমুর উচ্চতা ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। পূর্বসুরী ড্রোমোরনিস্‌ ও বুলোকোরনিস্‌ প্ল্যানেইরাও আড়াই মিটার পর্যন্ত উঁচু হতো। যে কারণে এর কল্পনাপ্রসূত ডাকনাম ছিল ‘দৈত্য হাঁস’। আবার এমু ছাড়াও গেনিওরনিস্‌সহ প্লেইস্টোসিন প্রাণীজগতে তাদের আরও কিছু আত্মীয় ছিল, যারা ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতো। তবে অস্ট্রেলিয়ার বাইরের উড়তে না পারা এমন কয়েকটি পাখি পৃথিবীতে একসময় দাঁপিয়ে বেড়াতো যেগুলো আকারে উটপাখির চেয়েও যথেষ্ট বড় ছিল।

উড্ডয়ন ক্ষমতাহীন পাখিদের অধিকাংশই দ্বীপবাসী। ধারণা করা হয়, দ্বীপে কোনো শিকারি প্রাণী না থাকায় এসব পাখির পূর্বপুরুষদের আত্মরক্ষার জন্য উড়বার প্রয়োজন পড়েনি। সে কারণে ক্রমে ক্রমে তাদের ওড়ার ক্ষমতা লোপ পায়।  

বিলুপ্ত অনেক প্রজাতির উড্ডয়ন ক্ষমতাহীন পাখিরা আবার প্রথম অস্ট্রেলীয় আদিবাসী ছিল। তাদের জীবাশ্ম ভবিষ্যত বংশধরদের বিবর্তনের ধারাও ভালোভাবেই প্রকাশ করে।  

যেমন দৈত্য পাখি এমুর পূর্বপুরুষদের ডিমের খোঁসার জীবাশ্ম আশ্চর্যজনক ও ভালোভাবেই অস্ট্রেলিয়াজুড়ে সংরক্ষিত আছে। সেগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাণীর বিলুপ্তির সময় ও কারণ নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে।  

এমুর আত্মরক্ষার মূল অস্ত্রই তার লম্বা পা। পা লম্বা হওয়ায় এমুরা অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে পারে চোখের পলকে। প্রয়োজন হলে খুব জোরে দৌঁড়াতে ও সাঁতরে জলাভূমিও পার হতে পারে। দৌঁড়ের গতি ঘণ্টায় ৩০ মাইল! 


এমুর পায়ের তিনটি আঙুল তিনদিকে ছড়ানো থাকে। পায়ের এ ধরনের অভিযোজনও তাদের দ্রুত দৌঁড়ানোর প্রয়োজনেই হয়েছে, যা বাস্টার্ড, কোয়েল ইত্যাদি দৌঁড়বাজ পাখিদের মধ্যেও দেখা যায়। তবে উটপাখি এমুর মতো দ্রুতবেগে দৌঁড়াতে পারলেও ওদের পায়ে দু’টি আঙুল রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এএসআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।