কোশিক নামের এক কোরিয়ান হাতি মানুষের বক্তৃতা অনুকরণ করতে পারে! সে তার কণ্ঠনালী বা সুরের পরিবর্তন করতে তার মুখের ভেতরে তার শুঁড়ের আগা স্থাপন করে। এরপর কোরিয়ান ভাষার কয়েকটি শব্দ উৎপন্ন করে।
২০১২ সালে কোশিকের মানুষের মতো কথা বলার ভিডিওচিত্র বের হয়।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাঞ্জেলা স্টগার হারওয়াথ বলেন, ‘হাতিটি সঠিকভাবে তার প্রশিক্ষকের কণ্ঠের সুর ও কথা অনুকরণ করে বলতে পারছিল। এটি অসাধারণ!’
‘হাতির কণ্ঠনালী ও শব্দ সৃষ্টির পদ্ধতি আমাদের চেয়ে ভিন্ন। তারা অনেক লম্বা এবং তাদের ঠোঁটের পরিবর্তে একটি শুঁড় আছে’।
কোশিকের আচরণ পরিষ্কারভাবে এটি ব্যাখ্যা করে যে, দেখাশোনা করা ও হুকুম পালনের জন্য তাকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। সে সেটিই শিখেছে, তার মাহুত বা পালক তাকে যা শিখিয়েছেন বা বলেছেন। তাই পালক যখন কোরিয়ান ভাষায় বলছেন, ‘নুও’ বা ‘শোও’, সে তখন বুঝতে পারছে, তার এখন শোয়া উচিৎ। এছাড়াও কোশিক ‘নুও’ শব্দটি বলতে পারছে। কিন্তু সে অন্য অর্থপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না’- বলেন স্টগার হারওয়াথ।
উত্তর ক্যারোলিনার ডরহম ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক জারভিস বলেন, ‘এক্ষেত্রে কোশিক বেশ একটি স্বাভাবিক প্রাণী। আপনি আপনার কুকুরকে ‘বসো’ বলে বসতে বা ‘পত্রিকা আনো’ বলে পত্রিকা আনতে এবং এসব শব্দ বুঝতে শেখাতে পারেন। কিন্তু কুকুর এ কথাগুলো অনুকরণ করতে বা বলতে পারবে না। আপনিও তাকে এসব শব্দ বলতে বা ব্যবহার করতে শেখাতে পারবেন না’।
‘তবে হাতিটি ব্যতিক্রম। কারণ, মানুষের কথা অনুকরণ করতে পারা অল্প কিছু প্রাণীর মধ্যে সে একটি। হাতি ছাড়াও বনমানুষ, ওরাংওটাং, শিম্পাঞ্জি, বেলুগা তিমি, ডলফিন, জেব্রা ফিঞ্চ ও তোতাসহ কিছু গায়ক পাখি মানুষের বাকশব্দ অনুকরণ করতে পারে’।
বিভিন্ন ধরনের অনুকরণ শৈলী সত্ত্বেও এসব প্রাণীদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তারা ‘কণ্ঠ শিক্ষার্থীদের’ মতো হয়। অর্থাৎ, তারা শব্দ শুনবে, তা অনুকরণ করতে শিখবে এবং তারপর সেগুলো উত্পাদন করবে’।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এএসআর