সামুদ্রিক পাখি, সর্পিল উদ্ভিদ, স্থানীয় জাতের ঘোড়া, ভেড়া, কুকুর, হাঁস ও শূকরসহ অসংখ্য জীববৈচিত্র্যের সমাহার সেখানে। চারপাশে মহাসাগর বেষ্টিত দ্বীপমালার মনোমুগ্ধকর জলবায়ু, জটিল ভূতত্ত্ব, শ্রমসাধ্য তটরেখা এবং পাহাড়ের সমন্বয়ে সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
সব মিলিয়ে স্কটল্যান্ডের প্রাগৈতিহাসিক সেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, যেখানে মেসোলিথিক যুগ থেকেই মানুষেরা বাস করে আসছে। তৃতীয় বৃহত্তম স্কটিশ ও পঞ্চম বৃহত্তম ব্রিটিশ এ দ্বীপপুঞ্জে অসংখ্য ছোট-বড় দ্বীপের ১৫টিই জনঅধ্যুষিত। সবচেয়ে ছোট, বিচ্ছিন্ন ও প্রত্যন্ত ফাওলা দ্বীপের বাসিন্দা মাত্র ৩০ জন, অথচ সেখানেও পাঁচ হাজারের বেশি বছর ধরে মানুষের বসবাস। স্কটিশ পার্লামেন্টের সেটল্যান্ড আসনের সমন্বয়ে সেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ দেশটির ৩২টি কাউন্সিল এলাকার একটি। দ্বীপটির প্রশাসনিক কেন্দ্র ও রাজধানী বার্ঘ লারউইক। পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর ও পূর্ব-উত্তর সাগরের মধ্যে বিভাজন আকারে থাকা ৫০ মাইলসহ মোট আয়তন ৫৬৬ বর্গমাইল। ১ হাজার ৬৭৯ মাইল দীর্ঘ তটরেখা বেষ্টিত দ্বীপপুঞ্জটির মোট জনসংখ্যা ২৩ হাজার ২১০ জন।
সেটল্যাণ্ডের বৃহত্তম দ্বীপ মেইনল্যান্ড মূল ভূখণ্ড নামে পরিচিত, যার আয়তন ৩৭৩ বর্গমাইল। পাপা স্টাওর, ফেটলার, নস ও ফাওলা দ্বীপগুলোর ৬৬ শতাংশই তটরেখা যা সমুদ্রের আইলপথ হিসেবে যোগাযোগস্থল। এখানকার প্রধান গৃহপালিত পশু ভেড়া। সেটল্যান্ড তাই মেষদের আড়াআড়ি চারণভূমি। হামার, ক্লিফ ও লোচ দ্বীপের কঠিন ও অনুর্বর ভূমিতে স্থানীয় ইঁদুর ও আপেল জাতীয় বৃক্ষবিশেষ এবং কাঁকড়া সুখ্যাতি পেয়েছে। ৪০০ প্রজাতির দেশীয় উদ্ভিদ, আর্কটিক আলপাইন গাছপালা, বনফুল, শৈবাল ও শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ, পদ্মজাতীয় গাছ স্প্রিং, কলা, স্কটস লোভেজ, রোজরুট এবং সমুদ্র পথিপার্শ্বস্থ জঙ্গলা লাল এবং সাদা ফুলের গাছবিশেষ প্রচুর জন্মে। ইউনসট দ্বীপের দুই সর্পিল পাহাড়ে দেখা যায় দুর্লভ উদ্ভিদ মাউসকান।
দ্বীপে পাওয়া যায় আটলান্টিকের দীর্ঘ ঠোঁটের সামুদ্রিক পাখি পেট্রেল, লাল গলার ডুবুরি পাখি, সেটল্যান্ড রেন, ফেয়ার আইল রেন ও উপ-প্রজাতির চকা, উত্তরাঞ্চলের হ্যাংলা, স্কুয়া, বৃহদাকার কালো ব্রড, তুষার হংসী ছাড়াও অনেক দুর্লভ পাখি। আছে পুষ্ট তুষারময় পেঁচাও।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এএসআর/এমজেএফ