ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বেড়াল ‘নাটমেগ’?

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বেড়াল ‘নাটমেগ’? ছবি: সংগৃহীত

কেউ সবচেয়ে দীর্ঘজীবী হলে গিনেস বুকে অব রেকর্ডসে তার নাম ওঠে। পত্রিকায় খবর হয়। খ্যাতি ছড়ায় দেশে-বিদেশে। সাংবাদিকরা তার দীর্ঘ জীবন লাভের গোপন রহস্যটা জানতে চান। 

কেউ সবচেয়ে দীর্ঘজীবী হলে গিনেস বুকে অব রেকর্ডসে তার নাম ওঠে। পত্রিকায় খবর হয়।

খ্যাতি ছড়ায় দেশে-বিদেশে। সাংবাদিকরা তার দীর্ঘ জীবন লাভের গোপন রহস্যটা জানতে চান।  

মানুষ নয়, দীর্ঘজীবী এক ব্রিটিশ বেড়ালের নাম উঠে এসেছে এবার। দুনিয়ার সবচেয়ে বয়সী বেড়াল বলে ধারণা করা হচ্ছে ওকে।  

বেড়ালটির নামটাও বেশ বাহারি-নাটমেগ (Nutmeg)।  
 
নাটমেগই দুনিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বেড়াল কি-না, ‘দ্য টেলিগ্রাম’ ওকে নিয়ে করা খবরের শিরোনামে সে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে- ‘Meet Nutmeg: Could this be the world’s oldest cat?’

বেড়ালটির মালিক নিউক্যাসল শহরের এক দম্পতি। লিজ ও ইয়ান ফিনলে নামের এই স্বামী-স্ত্রীর জোরালো বিশ্বাস, তাদের বেড়াল নাটমেগই দুনিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক বেড়াল। তাদের দাবি, নাটমেগের বয়স এখন ৩১ বছর। এর আগে আর কোনো বেড়াল এতো বেশি বছর বেঁচে থেকেছে কি-না, এ নিয়ে তারা সন্দিহান।  

তারা চান, কেউ তাদের বেড়ালটিকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করুক। যেন তাদের দাবিটা পাকাপোক্ত হয়।  

লিজ ও ইয়ান ফিনলে জানান, ১৯৯০ সালে নাটমেগকে তারা বেওয়ারিশ অবস্থায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন নিজেদেরই বাগানে। এরপর তারা সেটিকে নিয়ে যান স্থানীয় ‘ক্যাটস প্রটেকশন লিগের দফতরে। সেখানে পশুচিকিৎসক ওকে পরীক্ষা করে রায় দেন, বেড়ালটির বয়স কম করে হলেও ৫ বছর। সে হিসেবে ওর বয়স এখন ৩১ বছর।  

নিউক্যাসল ক্রনিকলকে ইয়ান ফিনলে বলেন, ‘প্রতি বছর মার্চ মাসে আমরা ওর জন্মদিন উদযাপন করে থাকি। সুতরাং, আমরা জানি, আমরা যখন ওকে খুঁজে পাই, সেটা ছিল ১৯৯০ সাল’।  
 
‘আমি সে সময় ওর গলার দিকটায় একটা ফোঁড়া দেখতে পেয়ে ওকে ক্যাটস্‌ প্রটেকশন লিগের দফতরে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তারই আমাদের জানান, নাটমেগ পূর্ণবয়স্ক। ওর বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর’।

পশুচিকিৎসকরা বলছেন, ‘বেড়ালটির এতো বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার মূল কারণ, ওর মুরগির মাংসপ্রীতি’।  

‘প্রতিদিন ভোর ঠিক পাঁচটা বাজলেই পাশের ঘরে পাতা নিজের বিছানা থেকে ও আমাদের ঘরে চলে আসে। তখন ওকে খাওয়ানোর জন্য আমরাও বিছানা ছাড়ি। আমাদের কোনো বাচ্চা-কাচ্চা নেই। নাটমেগই আমাদের বাচ্চা’- বলেন ইয়ান ফিনলে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
জেএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।