ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

বিরল প্রজাতির লোমশ সিল ফিরে গেল সমুদ্রে

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
বিরল প্রজাতির লোমশ সিল ফিরে গেল সমুদ্রে

অস্ট্রেলিয়ার একটি গ্রামীণ গাভির খামার থেকে একটি বিরল প্রজাতির লোমশ সিল উদ্ধারের পর পানিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার একটি গ্রামীণ গাভির খামার থেকে একটি বিরল প্রজাতির লোমশ সিল উদ্ধারের পর পানিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিডনির ২৬০ মাইল দক্ষিণের উপকূলীয় শহর বেগা’র একটি খাঁড়ি হয়ে জনপদে চলে আসে পশম সিলটি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) উদ্ধারের পর সেটিকে একটি নিকটবর্তী নদী দিয়ে সমুদ্রের পানিতে অবমুক্ত করেন জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

তারা জানান, মুক্তির আগে ক্লান্ত ও শান্ত ছিল সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী সিলটি। পরে নিজ আবাসস্থলে ফিরে মনের আনন্দে সাঁতার কাটতে থাকে।

নির্বিচার শিকারের কারণে ১৯ শতকের মধ্যে বিলুপ্তির দিকে চলে গিয়েছিল লোমশ সিল। নিউজিল্যান্ডের এ সিলকে দীর্ঘদিন ধরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

প্রজনন বাড়ানোর মাধ্যমে লোমশ সিল সমৃদ্ধ সংরক্ষিত অঞ্চল গড়ছেন প্রকৃতি ও জীববিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের আইনে এ প্রজাতিকে সুরক্ষিতও করা হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে অন্য একটি অস্ট্রেলিয়ান পশম সিল তাসমানিয়ার একটি পাবলিক টয়লেট ব্লকে ঘুমিয়ে ছিল। তাকেও উদ্ধারের পর ফিরিয়ে দেওয়া হয় পানিতে।

সিডনির টরঙ্গা চিড়িয়াখানার সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী ইউনিটের সুপারভাইজার অ্যান্ড্রু আরভিন বলেন, ‘পশম সিল কখনো কখনো বিচলিত হয়ে খাঁড়ির একটি দীর্ঘ পথ সাঁতার কেটে জনপদে চলে আসতে পারে’।

‘এটা সব সময় একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু বিরল প্রজাতির সংখ্যা এই মুহূর্তে বেশ ভালো এবং স্থিতিশীল’- বলেন তিনি।

বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষণা পরিষদের কর্মকর্তা ও সামুদ্রিক সিল প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির রেঞ্জার আরভাইন আরও বলেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নিউজিল্যান্ডের পশম সিলের ভালো বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি’।

‘এ প্রাণী আরামপ্রদ ও শান্ত, কিন্তু গরমে ক্লান্তপ্রবণ। তারা একটি সময় দীর্ঘ সময়ের জন্য পানি থেকে বের হতে পারে না’। তবে এবার এক মাসের বেশি সময় জমির ওপর ছিল, যা পশম সিলের জন্য অস্বাভাবিক আচরণ ছিল’।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।