কানাডার ইউকোনসহ আলাস্কা ও সাইবেরিয়া অঞ্চলের কাকড়া বিছা’র একটি প্রজাতি বিষ্ময়করভাবে চরম ঠাণ্ডা মোকাবেলার পাশাপাশি টানা ১৭ দিন বা ৪০৮ ঘণ্টা বাঁচতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়াই।
সর্বংসহা প্রাণীটিকে নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
ম্যামথ্ হাতিসহ বরফ যুগের বড়-ছোট প্রায় সব প্রাণীই হারিয়ে গেছে চিরতরে। বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘরে হয়তো কিছু জীবাশ্মের নমুনা সংগৃহীত রয়েছে।
অথচ বরফ যুগের সেসব প্রাণীদের এক সঙ্গী সুমেরু অঞ্চলের সিউডোস্কোরপিয়ন (pseudoscorpion/ ছদ্ম কাঁকড়া বিছা) অসাধারণ বিবর্তন কৌশলে এখনো বহাল তবিয়তে টিকে আছে।
আর্থপোডা পর্বের এই ক্ষুদ্র প্রাণীটি তার সুপার পাওয়ারকে কাজে লাগিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়াই পানির নিচে টানা কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে, চরম ঠাণ্ডায়ও টিকে থাকতে পারে।
আর্থপোডা পর্বের আরো কিছু প্রাণী আছে, যেগুলো কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে। কিন্তু সিউডোস্কোরপিয়নসের মতো হওয়া তো দূরের কথা, এর কাছাকাছি একটিও নেই।
অবশ্য ৩ হাজারের বেশি প্রজাতির সিউডোস্কোরপিয়ন্স রয়েছে বলে জানা যায়। সেগুলো মাকড়সা ও কাকড়া বিছার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। এগুলো ২ থেকে ১২ মিলিমিটার লম্বা হয়। উত্তর মেরু অঞ্চলের বা নর্দান সিউডোস্কোরপিয়নগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট, ২ থেকে ২.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
সিউডোস্কোরপিয়নগুলোর শরীরের তুলনায় বেশ লম্বা ছিমটা রয়েছে। যদিও ভারসাম্য রক্ষার লেজ নেই। অন্য কাকড়া বিছাদের মতো এদের ভয়ঙ্কর সেই হুল নেই। এজন্যই এর নাম সিউডোস্কোরপিয়ন্স বা ছদ্ম কাকড়া বিছা। ছোট ছোট অমেরুদণ্ডীদের শিকার করে খায় এরা।
সুমেরু অঞ্চলের সিউডোস্কোরপিয়নরা পাথুরে এলাকায় খাঁড়ি ও নদীর পাশে বাস করে। এ জায়গাগুলো প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, যেখানে প্রতিটি বসন্তে নিয়মিত বন্যা হয়, যখন বরফ গলতে থাকে। বন্যা সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমইউএম/এএসআর