ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

তারপরও জীবনঝুঁকি আছে ওদের!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৬
তারপরও জীবনঝুঁকি আছে ওদের!

জলে-স্থলের কঠোরতম অঞ্চলে এমনকি কোনো ধরনের সুরক্ষা ছাড়াই মহাশূন্যের রূঢ় প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার সুপার পাওয়ার আছে ক্ষুদ্রতম প্রাণী টারডিগ্রেডস্ প্রজাতির। শুধুমাত্র একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যেতে পারে সর্বোচ্চ দেড় মিলিমিটার লম্বা এই প্রাণীদের, যারা‘পানি ভালুক’ নামে পরিচিত।

জলে-স্থলের কঠোরতম অঞ্চলে এমনকি কোনো ধরনের সুরক্ষা ছাড়াই মহাশূন্যের রূঢ় প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার সুপার পাওয়ার আছে ক্ষুদ্রতম প্রাণী টারডিগ্রেডস প্রজাতির। শুধু একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যেতে পারে সর্বোচ্চ দেড় মিলিমিটার লম্বা এই প্রাণীদের, যারা‘পানি ভালুক’ নামে পরিচিত।

বিবর্তনের ধারায় বিশেষ সর্বংসহা প্রজাতিতে পরিণত হওয়া টারডিগ্রেডরাটিকে আছে ৫০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি আগে ক্যামব্রিয়ান যুগ থেকেই।

এমনকি মৃত্যুর পরও তাদেরকে পুনঃসঞ্জীবিত বা বাঁচিয়ে তোলা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাণী বিজ্ঞানীরা।

এরপরও জীবন সংহারের একটিমাত্র উপলক্ষ রয়ে গেছে মূলত জলজ এই প্রাণীদের ক্ষেত্রে। আর তা হচ্ছে,সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা বা পরম শূন্য তাপমাত্রা এবং চরম উত্তপ্ত আবহাওয়ার বিপত্তি।

পরম শূন্য বা মাইনাস ২৭২.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার উদ্ভব ঘটলে টারডিগ্রেডদের মুখও বরফ হয়ে যাবে। তাদের কোষের ভেতরে বরফ স্ফটিক গঠিত হবে। তাহলেই তাদের ডিএনএ’র মতো গুরুত্বপূর্ণ অণু সরিয়ে বিছিন্ন করা যাবে।

প্রাণী বিজ্ঞানীরা জানান, টারডিগ্রেড আসলে তাদের কোষের অভ্যন্তরে বরফের বিচরণ সহ্য করতে পারে না। আবার ১৫০ সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত গরম ও উত্তপ্ত আবহাওয়ায়ও টিকতে পারা প্রাণীটি এর চেয়ে বেশি গনগনে তাপ সহ্য করতে পারে না।  

১৮৪২ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী ডোইরি দেখিয়েছেন যে,‘বড় পিপা’ প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে টারডিগ্রেডই একমাত্র,যেটি কয়েক মিনিটের জন্য ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম হচ্ছে বেঁচে থাকতে পারে।

১৯২০ সালে বেনেডিক্টাইন খ্রিস্টান যাজক গিলবার্ট ফ্রানজ রাহম ১৫ মিনিট ১৫১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তাদের গরম করার পর জীবন ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। তরল নাইট্রোজেন ও তরল হিলিয়ামের মধ্যে রাখার পরও জলের সংস্পর্শে বেঁচে ওঠার প্রমাণ পান তিনি।

রাহম ঠাণ্ডায়ও তাদের পরীক্ষা করেন। তিনি তাদের তরল বাতাসে মাইনাস ২০০ ডিগ্রিতে ২১ মাস, মাইনাস ২৫৩ ডিগ্রিতে ২৬ ঘণ্টা এবং মাইনাস ২৭২ ডিগ্রিতে ৮ ঘণ্টা রেখে দেন।

‘এখন আমরা জানি যে, কিছু টারডিগ্রেড শুধু পরম শূন্যের (২৭২.৮ ডিগ্রি) ওপরে নিথর হয়ে যায়, যে তাপমাত্রা তারা সহ্য করতে পারে না’- বলেন রাহম।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
এএসআর/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।