‘বানরের জন্য রাজকীয় ভোজ’, ‘অ্যানুয়াল মাংকি বুফে’ অথবা ‘বানরের জন্য ফাইভ স্টার ব্যাংকুয়েট’ ---এরকম মনকাড়া সব সংবাদ শিরোনাম ছাপিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। করারই কথা।
তবে মহাভোজের মহা-অতিথি হয়েও খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি আর মারামারি করে বাঁদরের দল নিজেদের আদি ও অকৃত্রিম বদ খাসলতের পরিচয় দিতে এতোটুকু ভোলেনি। ফলে ভোজসভাটা লঙ্কাকাণ্ডের মতোই এক মহা-বানরকাণ্ডে রূপ নিয়েছিল। আর সেখানে উপস্থিত বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ হাজার হাজার মানুষ এই দৃশ্য বেশ উপভোগ করেছে। শত শত লোক তাদের ক্যামেরায় ধারণ করেছেন সেই বিরল দৃশ্য। এক কথায় যাকে বলে ‘রথ দেখা আর কলা বেচা’।
১৯৮০-র দশক থেকেই এই বৌদ্ধমন্দির বানরদের জন্য বার্ষিক মহাভোজের আয়োজন করে আসছে। এবারের মহাভোজের মেন্যুর পুরোটাই সাজানো হয়েছিল নানান রকমের ফলফলারি দিয়ে।
থাইল্যান্ড বৌদ্ধপ্রধান দেশ হলেও ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে সেখানে। আর বানরকে মনে করা হয় অবতার। সেখানেও ভারত ও নেপালের মতো বানর এক পূজনীয় চরিত্র বা বীর হনুমানের জীবন্ত প্রতীক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
জেএম/