অষ্টাদশ শতকের একটি চীনা রাজকীয় সিলমোহর বিক্রি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ ২২ মিলিয়ন ডলারে (২১ মিলিয়ন ইউরো বা ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড)। প্রস্তাবিত দরের ২০ গুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয় সেটি।
সেটি ছিল সম্রাট কিয়ানলং এর শত শত সিলমোহরের একটি। কিয়ানলং ছিলেন দীর্ঘকালীন চীনা সম্রাটদের একজন।
প্যারিসের ড্রোওউট নিলাম হাউজে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ওই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। উত্তেজনাপূর্ণ নিলামযুদ্ধের পর নাম না জানা একজন চীনা সংগ্রহকারী সিলমোহরটি কিনে নেন। ২০ বারেরও বেশি দর হাঁকেন নিলামে অংশগ্রহণকারীরা।
হাতের তালুর আকারের সিলমোহরটি এক ধরনের খনিজ শিলা লাল ও সাদা স্টিটাইট দিয়ে গঠিত। চরম প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে সক্ষম এ প্রযুক্তি। নয়টি ড্রাগনের সমন্বয়ে সিলমোহরটিতে সম্রাটের সার্বভৌম কর্তৃত্ব বোঝানো ছাড়াও পুরুষালী অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোও উপস্থিত রয়েছে।
নিলামে সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রির আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১১ সালের। সেবার একটি সিলমোহর বিক্রি হয় ১৪ মিলিয়ন ইউরোতে।
ড্রোওউট নিলাম হাউজ কর্তৃপক্ষ জানান, সর্বশেষ বিক্রি করা সিলমোহরটি মূলত একজন তরুণ ফরাসি নৌ-ডাক্তারের সংগ্রহ করা, যিনি উনবিংশ শতাব্দীতে চীন সফরের সময় নিয়ে এসেছিলেন। তখন থেকেই তার পরিবারের সংগ্রহে ছিল সেটি।
এশীয় শিল্প বিশেষজ্ঞ এলিস জোসাউম জানান, মাঝে সেটি ৮ লাখ থেকে ১ মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি হবে বলে আশা করা হয়েছিল।
সম্রাট কিয়ানলং ছিলেন একজন ব্যাকুল শিল্প সংগ্রাহক, যিনি অষ্টাদশ শতকের (১৭৩৬-১৭৯৫) বেশিরভাগ সময় চীন শাসন করেন। তিনি নিজেও একজন শিল্পী ছিলেন এবং নিজের স্বাক্ষর করা ও ব্যবহারের জন্য সিলমোহর তৈরি করেন। অন্য শিল্পীদের দিয়েও শিল্পসম্মত সিলমোহর তৈরি করাতেন কিছু কমিশন দিয়ে।
ড্রোওউট নিলাম হাউজ জানায়, সম্রাট কিয়ানলং ১ হাজার ৮০০টিরও বেশি সিলমোহর তৈরি করান, যার ৭০০টি হারিয়ে গেছে। বাকি ১০০০টি বেইজিং এর ফরবিডেন শহরের চীনা প্রাসাদ মিউজিয়ামে রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এএসআর