জরিপে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা বন্ধুভাবাপন্নতায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। রাজধানী কাম্পালায় বসবাসরত প্রবাসী ব্রিটিশ শার্লট বিয়াওভয়সিন ও বুলগেরিয়ার নাদিয়া মিলেভা বলেন, ‘এখানকার মানুষ বিস্ময়করভাবে প্রবাসীবান্ধব।
‘বাড়িতে থাকতে পছন্দ করা ভালো পরিবারের জন্যও এটি একটি নিরুদ্বেগ দেশ। প্রবাসীরা এখানে জীবনযাত্রার উচ্চমান বজায় রাখতে সক্ষম হন’।
‘বিশুদ্ধ জীবন’ এর দেশ কোস্টারিকার সংস্কৃতি প্রবাসীদের সাদরে স্বাগত জানিয়ে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করে। স্থানীয়-বিদেশিদের মাঝে শান্তি, সম্প্রীতি, সমতা ও অকপটতা বজায় রাখতে সেখানকার সমাজতান্ত্রিক সরকারও ভূমিকা পালন করে।
সান্তা আনায় বসবাসরত যুক্তরাজ্যের ডেভিড ব্ল্যাক বলেন, ‘বিদেশিরা কোস্টারিকার সৈকতে টানা সার্ফিং ও সাঁতার কাটতে পারেন। যুক্তিসঙ্গত খরচে কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া বা শালীন বাজেটে বেঁচে থাকার জন্য এটি একটি আদর্শ দেশ’।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় বসবাস প্রবাসীদের কাছে যেন নিজ বাড়িতে থাকার মতোই। বিদেশি বংশোদ্ভূত বাসিন্দাদের স্থানীয়রা পর্যটক হিসেবে আচরণ করেন। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশটিতে তাজা ফল ও সবজি সাশ্রয়ী মূল্যে সারা বছরই পাওয়া যায় এবং সেবা খুব সস্তা।
দেশটির উত্তরে বোগোতা শহরতলীতে বসবাসরত প্রবাসী আমেরিকান অ্যান মার জর্জ ভিলেগাস ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেডেলিনে বসবাসরত উইলিয়াম ডুরান বলেন, ‘কলম্বিয়ার মানুষ ফলাও করে তাদের দেশ দেখাতে আগ্রহী এবং নতুনদের প্রতি খুব ধারণক্ষম ও উষ্ণ অতিথিপরায়ণ। বিদেশিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও নতুনত্বের মধ্যে ভারসাম্য আনতে সক্ষম কলম্বিয়ানরা খুব সহায়ক ও প্রফুল্লও হন’।
বিশ্বের রৌদ্রকরোজ্জ্বলতম দেশ ওমানের স্বাগতপূর্ণ সংস্কৃতিতে তার উষ্ণ জলবায়ু প্রতিফলিত। দেশটির আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক দৃশ্য ও মনোমুগ্ধকর আবহাওয়া অবিরাম ট্যুরিজম, ক্যাম্পিং ও দু:সাহসিক কাজের জন্য বিখ্যাত।
বিভিন্ন জাতীয়তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বাসিন্দারা স্বাগত জানানোর সংস্কৃতিতে বিশ্বাসে, নতুনদের সঙ্গে অকপটতা বাড়ে তাদের।
রাজধানী মাস্কাটে বসবাসকারী নিউজিল্যান্ডের প্রবাসী রেবেকা মেইস্টন ও দক্ষিণের শহর নিজওয়ার বাসিন্দা প্রবাসী নিকলে ব্রিউয়ার্স বলেন, ‘প্রথাগতভাবে ওমানীয়রা অপরিচিতদের জন্য খুব অতিথিপরায়ণ। তাদের শক্তিশালী ইসলামী পটভূমি ও বিশ্বাসের সঙ্গে তারা তাদের প্রতিবেশী বা বিদেশিদের সাহায্য করতে ভালোবাসেন।
বিদেশিরা ফিলিপাইনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জীবনধারায় আকৃষ্ট। সারা বিশ্ব থেকে আসা প্রবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় ৭ হাজার ১০০ দ্বীপের দেশটিতে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি অফিস খুলেছে এবং এটি আউটসোর্সিং রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ১৫৯টি দেশের অধিবাসীদের ফিলিপাইনে প্রবেশ করতে হবে এমনকি ভিসারও প্রয়োজন নেই। বাসিন্দারা নতুনদের স্বাগত জানাতে আগ্রহী।
ম্যানিলায় বসবাসরত প্রবাসী এলানোর ওয়েবলি ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেবু’র বাসিন্দা ইওসেনের মতে, ‘এখানকার বাসিন্দারা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ, সদাহাস্য, বহির্গামী এবং সহায়ক হন। প্রবাসীরাও দ্বীপরাষ্ট্রটির ক্রান্তীয় জীবনধারা ভালোবাসেন। এখানে জীবনযাত্রার ব্যয় উচ্চ নয় এবং বাজেট উদারমনস্ক। হাউজিং, পরিবহন এবং খাদ্যে লন্ডনের চেয়ে ম্যানিলা প্রায় ৬০ শতাংশ কম ব্যয়বহুল’।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এএসআর/