ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সম্প্রতি কফিন থেকে বের করা হয় সালভাদর দালির দেহাবশেষ
ঢাকা: বিখ্যাত পরাবাস্তবাদী চিত্রশিল্পী সালভাদর দালির বিখ্যাত গোঁফ মৃত্যুর ২৮ বছর পরও রয়েছে আগের অবস্থাতেই। গত ২০ জুলাই ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কফিন থেকে বের করা হয় বিখ্যাত এ স্প্যানিশ শিল্পীর দেহাবশেষ। তার দেহাবশেষ মোড়া কাপড়টি উন্মুক্ত করলে দেখা যায় আগের মতোই রয়েছে তার এই অনন্য মুখ বৈশিষ্ট্য।
১৯৮৯ সালে ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই বিখ্যাত স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী। তার মরদেহ মমিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সংরক্ষিত করার পর কফিনটি স্পেনের কাতালোনিয়ার দালি'স মিউজিয়ামে সমাহিত করা হয়।
মমিফিকেশনের কারণে তার বিখ্যাত গোঁফটি আরও একশো বছর একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। গত জুন মাসে সালভাদর দালির দেহাবশেষ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দিয়েছিল স্পেনের আদালত। একজন নারী নিজেকে এই বিখ্যাত শিল্পীর মেয়ে বলে দাবি করলে বিচারক এ নির্দেশ দেন। নারীটির নাম মারিয়া পিলার আবেল মার্টিনেজ। মারিয়া দাবি করেন, তার মায়ের সঙ্গে সালভাদর দালির গোপন প্রণয় ছিল। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে যদি তার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়, তবে তিনি দালির সম্পত্তির উত্তরাধিকার মনোনীত হবেন।
এতো কিছু থাকতে এই শিল্পীর গোঁফ নিয়ে এতো মাতামাতির কারণ, ২০১০ সালের এক জরিপে সর্বকালের সেরা গোঁফ নির্বাচিত হয় সালভাদর দালির অনন্য বৈশিষ্ট্যধারী গোঁফ। এছাড়া জীবদ্দশায় প্রায়ই নিজের গোঁফ নিয়ে মজা করতেন তিনি। ১৯৫৪ সালের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে গোঁফ।
বাংলাদেষ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এনএইচটি/এএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।