চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ তাড়াতে কোনো উপায় খুঁজে পাননি আমাদের মেয়রদ্বয়। শেষতক একজন ফোনে হেল্পলাইন চালু ও বাড়ি বাড়ি ডাক্তার পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে পাঠকদের চমকে দিয়েছে পত্রিকাটি। পত্রিকা হাতে নিয়েই এক ধরনের গন্ধ পেতে থাকেন পাঠক। কিন্তু মশার স্প্রে তো করেননি, আবার কয়েলও জ্বালাননি। তাহলে? চোখ পড়লো পত্রিকার প্রথম পাতার ডান কোণের প্যানেলে। কি, জ্বলজ্যান্ত মশা নাকি বসে আছে? না, এটা তো ছবি! এবার চোখ পড়লো লেখা ‘এই সময়, মশা থেকে মুক্তির বিশেষ বন্দোবস্ত। ’ আবার দামও বেশি, মানে ৬ টাকা। শনি, রোববার থাকে ৫ টাকা। অন্যদিন ৪ টাকা।
এবার পাতা উল্টাতেই গন্ধটা যেন আরও তীব্র হলো। চোখ পড়লো তৃতীয় পাতার সপ্তম কলামের উপরে। সেখানে লেখা নিবেদন। নিচে লেখা, ‘আজ ‘এই সময় পত্রিকাটি খুললেই পাবেন একটি বিশেষ সুগন্ধ। সেই গন্ধটি বেশ কয়েক দিন দূরে রাখবে মশার ঝাঁককে। এই জন্য আজ ‘এই সময়’ সংবাদপত্রের মূল্য ৬ টাকা। দুটি সবিনয় বক্তব্য। এক. এই মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র আজকের জন্য। দুই. কাগজের গন্ধযুক্ত অংশটি বাড়ির শিশু এবং পোষা পশুপাখির নাগালের বাইরে রাখবেন। তাছাড়া সংবেদনশীল ত্বকে এই সংবেদনশীল পৃষ্ঠা কিছু অস্বস্তি সৃষ্টি করতেও পারে। আশা করি, মশক-লাঞ্ছিত বর্ষায় এই উদ্ভাবনী নিবেদন পাঠকসাধারণের উপকারে আসবে এবং আমরা তাদের সহৃদয় আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হব না। ’
দ্বিতীয় পাতায় তারা মশা নিয়ে বিশেষ আয়োজনও করেছে। যেখানে মশা তাড়ানোর উপায়, রক্ষার জন্য করণীয়, মশা কাদের কামড়ায়, কোন পোশাক, কোন রঙে মশা আকৃষ্ট হয় প্রভৃতি।
তবে আজকের পত্রিকার বিশেষ উদ্ভাবনী দিক হলো এটা ধারে কাছে থাকলে মশা আপনার কাছে ভিড়বে না। মশা মারতে দরকার পড়বে না কামান-দাগা। পত্রিকার পাতাই যথেষ্ট!
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
এএ