ফসিলটির ত্বক, আঁশ এবং ড্রাগনাকৃতিই প্রমাণ করে যে এটি নতুন নডোসোর প্রজাতির। এর সারাদেহ শক্ত আঁশের বর্মাচ্ছাদিত নমুনাটি পাথরের নিচে চাপা পড়েছিল।
কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংরক্ষিত অবস্থায় প্রাপ্ত শক্ত আচ্ছাদনযুক্ত এ ডাইনোসরটি পৃথিবীর সেরা ডাইনোসর প্রজাতির নমুনা। ২০১১ সালে ৫.৫ মিটার আকৃতির এ ডাইনোসরটির প্রথম সন্ধান পান শন ফাংক। তিনি তখন আলবার্টার সাংকর মিলিনিয়াম মাইনে কাজ করতেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ডাইনোসরটির ওজন ১হাজার ৩০০ কিলোগ্রামের বেশি হবে। প্রাণিটির মাথা থেকে ঊরুর অংশ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। অন্যসব ডাইনোসর প্রজাতি থেকে এ ডাইনোসরটির গড়ন একটু আলাদা। অন্যদের শরীরে কঙ্কাল কিংবা হাড়ের অস্তিত্ব থাকলেও ‘মোনা লিসা’ ডাইনোসরের আকৃতি ত্রিমাত্রিক ঘরানার, পুরো শরীর আঁশে ঢাকা।
প্রাণীটি বর্তমানে রয়েল টাইরেল মিউজিয়ামের প্রদর্শীনতে সাজানো আছে। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী ক্যালেব ব্রাউন বলেন, আপনি যদি এক পলকের জন্য প্রাণিটির দিকে চোখ মেলে তাকান তাহলে মনে হবে যেন সেটি ঘুমোচ্ছে। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি সবচাইতে সুন্দর ডাইনোসর প্রজাতির নমুনা হয়ে থাকবে। বলা যায়, ‘ডাইনোসরদের মোনালিসা’।
প্রাণিটির ত্বক গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি তৃণভোজী। ডাইনোসরটি শক্তিশালী আচ্ছাদন এবং ট্যাঙ্কের মতো দেহ গড়নের পেছনে একটাই কারণ, আর তা হলো মাংসাশী ডাইনোসরদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
জিওয়াই/জেএ