প্রাচীন এই তীর্থে উপাসনালয়ের আধিক্য বিষ্ময় জাগায়। এখানে অন্তত ৪শ’ মন্দির আছে হ্রদটিকে ঘিরে।
প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমায় ৫ দিন ব্যাপী উটের মেলা বসে এখানে। সে মেলায় গরু, ছাগল আর ভেড়াও বিক্রি হয় বটে, কিন্তু প্রায় অর্ধশত স্নানঘাটের হ্রদকে ঘিরে উটকে কেন্দ্র করেই মূলত জমে প্রধান আয়োজন।
এ মেলা শুরুই হয় উট দৌড়ের প্রতিযোগিতা দিয়ে। পাশাপাশি আনন্দ বাড়িয়ে দেয় মটকা ভাঙা, বড় গোঁফের প্রতিযোগিতা আর গণ বিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন।
নাগপুরের রূপার অলংকার আর আজমিরের কাপড় কেনার পাশাপাশি রাজস্থানি গান-বাজনার উপভোগ্য আসর বসে পুস্করের মেলায়।
ভালো করে ঝেড়ে মুছে, রংবেরঙের কাপড় আর অলংকার পরিয়ে উটগুলোকে আনা হয় মেলায়। উট সাজানো দেখেও মুগ্ধ হয় দর্শক। জমে ওঠে মানুষের পাশাপাশি উটেরও অলংকার বিকিকিনি। উটের নাকে নথ পরানো দেখতে ভিড় জমে পর্যটকদের।
উট প্যারেডের চাক্ষুস অভিজ্ঞতাও নিতে ভোলেন না পর্যটকরা। একসঙ্গে অনেক মানুষ পিঠে বসিয়ে উটের কসরত দেখানোও উপভোগ করে দর্শনার্থীরা। অবাক হয়, অনেক বস্তুর ভেতরে লুকিয়ে রাখা জিনিস যখন খুঁজে বের করে এনে মালিকের হাতে তুলে দেয় প্রভুভক্ত উট। প্রতিটি ইভেন্ট শেষে ঘাড় উঁচিয়ে দর্শকদের সম্মান জানায় উটগুলো।
মেলা ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে ভাড়া নিয়ে চড়া যায় উটের পিঠে। মেলার শেষ দিন দর্শনার্থীরা হ্রদের জলে স্নান করে কঠিন কঠিন সব রোগ থেকে মুক্তির আশায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৭
জেডএম/