এমনই এক আইসক্রিম উদ্ভাবন করেছেন জাপানের একদল গবেষক, যা কখনই গলবে না।
জাপানের কানাযাওয়া শহরে অবস্থিত বায়োথেরাপি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা এ আইসক্রিম উদ্ভাবন করেছেন।
জাপানি সংবাদ মাধ্যম আসাহি সিমবান সূত্রে জানা যায়, অভিনব এ আইসক্রিম ইতোমধ্যেই জাপানের বেশ কিছু শহরে বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে।
প্রস্তুতকারকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আইসক্রিম প্রচণ্ড রোদে রেখে দিলেও সম্পূর্ণ অবিকৃত থাকবে।
আইসক্রিমটির না গলার রহস্য সম্পর্কে গবেষকরা জানান, এর ভেতর এক প্রকার স্ট্রবেরির নির্যাস ব্যবহার করা হয়েছে, যা আইসক্রিমের মধ্যকার তেল ও পানিকে আলাদা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে। ফলে আইসক্রিম থাকে অবিকৃত।
একই কারণে আঙুরের আইসক্রিম তৈরি প্রায় অসম্ভব। আঙুরে পানির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। তাই এ থেকে আইসক্রিম বানাতে গেলে তা শক্ত বরফে পরিণত হয়।
মজার ব্যাপার হলো, কানাযাওয়া আইসক্রিমের উদ্ভাবন ছিল আসলে গবেষকদের একটি দুর্ঘটনা। ১৮৫৩ সালে পটেটো চিপস উদ্ভাবনের নাটকীয় গল্পটি জানা আছে? নিউইয়র্কের এক হোটেল বাবুর্চি একদিন ক্ষেপে গেলেন আগত অতিথিদের উপর। কারণ অতিথিরা তার পটেটো ফ্রাই পছন্দ করেনি। আবার নতুন করে তা বানিয়ে পরিবেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে।
সেই ক্ষ্যাপা বাবুর্চি অতিথিদের আরও বিব্রত করতে অতি সূক্ষ্ম করে আলু কাটলেন, সেগুলো গরম তেলে অনেক্ষণ ভাজলেন, সবশেষে অতিরিক্ত লবণ ছিটিয়ে পরিবেশন করলেন। কিন্তু এই খাবার পেয়ে অতিথিদের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেল তা ছিল অপ্রত্যাশিত। অভিনব এই পটেটো ফ্রাই প্রচণ্ড পছন্দ করলো সবাই। আর এই পটেটো ফ্রাই এখন বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত পটেটো চিপস নামে পরিচিত।
এদিকে কানাযাওয়া আইসক্রিম উদ্ভাবনের সময় গবেষকরা চেষ্টা করছিলেন বিভিন্ন প্রকার পলিফেনল দিয়ে স্ট্রবেরি ডেজার্ট তৈরির।
জাপানে এ আইসক্রিমটির মূল্য ৫শ ইয়েন, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৪শ টাকা। দুঃখের বিষয় এ মুহূর্তে শুধু জাপানেই পাওয়া যাচ্ছে আইসক্রিমটি। তবে খুব শিগগিরই যে কানাযাওয়া আইসক্রিম বিশ্বব্যাপী আইসক্রিমপ্রেমীদের হাতে পৌঁছে যাবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
এনএইচটি/এএ