কিন্তু ওই কুমিরটাকে ধরার পরও আরো অনেক কুমিরের বিচরণ দেখা যাচ্ছিলো সেখানকার নদী ও সাগরের জলে। নোনা জলের এসব হিংস্র কুমির প্রায় ২২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাই ফাঁদ পেতে রাখে কুমিরগুলোকে ধরতে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) ওরকমই এক পেতে রাখা ফাঁদ ঘিরে কিছু সময় সাঁতরায় ওই চার অস্ট্রেলিয়ান। এক পর্যায়ে পেতে রাখা ফাঁদের ভেতরই ঢুকে পড়ে। ছবির জন্য পোঁজ দেয়।
তাদের এমন হঠকারী সাঁতারের ছবি ফেসবুক ও ট্যুইটারে ছড়িয়ে পড়লে শতাব্দীর আহাম্মদ খেতাব জোটে কপালে। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, তাদের আহাম্মকি আগের সব ধরনের আহাম্মকির নজির ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় শহর ডগলাস শায়ার এর মেয়র জুলিয়া লিউ বলেন, তাদের আহাম্মকিতে আমি স্তব্ধ। তারা বিপদজনক আচরণ করেছে। তারা বছরের সেরা বা শতাব্দীর সেরা আহাম্মকের খেতাব জিতলেও অবাক হবো না।
কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ মন্ত্রী স্টিভেন মাইলস এক টুইটার বার্তায় বলেন, আমরা কুমিরের জন্য ওই ফাঁদ পেতেছিলাম। সেটাতে সাঁতরানো আহাম্মকি ও অবৈধ। এসব ফাঁদে প্রবেশ করলে ১৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১১,৭০০ মার্কিন ডলার) জরিমানার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
জেডএম/