গত ২৪ অক্টোবর থেকে এই কার্তিক নাচ শুরু হয়। শনিবার (৪ নভেম্বর) কার্তিক পূর্ণিমায় নাচে নাচে ফুটিয়ে তোলা হয় কৃষ্ণের গল্প দধি লীলা।
কার্তিক নাচ সংরক্ষণ কমিটির প্রেসিডেন্ট কিরণ চিত্রকর বলেন, এ নাচের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মিথাশ্রয়ী অনেক গল্প। এই নাচ উৎসবের প্রথম দিন সুদামা পানথা ও দ্বিতীয় দিন বাথ পানথা নামে বিশেষ ধরনের নাচের আয়োজন থাকে। তৃতীয় দিন ঊষা হরণ লীলা শুরু হয়ে চলে টানা পাঁচ দিন।
ঊষা হরণ লীলায় মূলত কৃষ্ণ ও ঊষার নাতি অনিরুদ্র’র প্রেম কাহিনী বর্ণিত।
এছাড়া জল সায়ান, বরাহ অবতার, নরসিংহ অবতার, বস্ত্র হরণ লীলাও পরিবেশিত হয় নাচে নাচে।
বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে রাজা সিদ্দি নরসিংহ মাল্লা ১৬৪১ সালে এ নাচ প্রবর্তন করেন। তারপর থেকে প্রায় ৩৭৬ বছর ধরে নেপালে এই নাচ আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
জেডএম/