সম্প্রতি সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বাল্মিকী রিজার্ভ ফরেস্টে ওই দুই গন্ডারের দেখা মেলে।
এর আগে ওই রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে আরো ৮টি ভেসে যাওয়া একশৃঙ্গী গন্ডার ফিরিয়ে নিয়ে গেছে নেপাল।
এবার পোষা হাতিকে কাজে লাগিয়ে নতুন খোঁজ পাওয়া গন্ডার দুটিকে তাড়িয়ে চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কের সংরক্ষিত অভয়ারণ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৬শ’ একশৃঙ্গী গন্ডার রয়েছে। এস গন্ডার দেখতে প্রতি বছরই হাজার হাজার পর্যটক পাহাড়ি বন চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে সাফারিতে যায়।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে কেবল নেপাল এবং ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের হিমালয় পাদদেশীয় এলাকায় এই একশৃঙ্গী গন্ডারের বসবাস হয়েছে। এদের সংখ্যা এখন হাজার তিনেক হবে।
এক সময় বাংলাদেশেও এ প্রজাতির গন্ডার বাস করতো। ১৯৫০-৬০ সালে সুন্দরবন আর উত্তরবঙ্গের শাল বনে এক শৃঙ্গী গন্ডার দেখা যেতো।
এখনো হাতির পরেই এই এক শৃঙ্গী গণ্ডারই উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী। সার্বিক বিচারে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ প্রাণী। আকারে আফ্রিকান গন্ডারের চেয়ে ছোটো হলেও একেকটির ওজন দেড় হাজার কেজির কম নয়।
এদের চামড়া বর্মের মতো। মোটা ও অনেকগুলো খাঁজযুক্ত। এদের ঘাড়-কাঁধ ও দেহের পাশের চামড়া স্ফীত। নারী গণ্ডারের উচ্চতা ১.৬ মিটার। ছেলে গণ্ডারের উচ্চতা ১.৮ মিটার।
তৃণভোজী এক শৃঙ্গী গন্ডার ছোট ছোট দলে চলাফেরা করে। এদের বুদ্ধিবৃত্তি অত্যন্ত নিচু স্তরের হওয়ায় অল্পতেই রেগে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। পাচারকারিরা শিং এর লোভে এদের হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
জেডএম