কুমারি মেয়েদের উদোম বুকের ওই প্যারেড থেকে তুলে নেওয়া ১৪তম স্ত্রী সিফেলি মাসওয়ামাকে নিয়ে সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে অংশ নিলেও জাম্বিয়া সফরে তিনি সঙ্গে নেন সাবেক সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট ১৩তম স্ত্রীকে।
সোয়াজিল্যান্ডের রাজার জন্য আয়োজিত এ বছরের কুমারি প্রদর্শনী ও রিড নৃত্য উৎসবে অতিথি ছিলেন জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এডগার লুংগু।
বৃহস্পতিবার সোয়াজি রাজা ও তার ১৩তম স্ত্রীকে লুসাকার কাউনদা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানান লুংগু।
এ সময় চাবুক দোলাতে থাকা রাজার ডান কাঁধে বাঁধা ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল আলোয়ান ঝুলে ছিলো বুক ও দেহ জুড়ে। পায়ে ছিলো স্যান্ডেল।
দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই সোয়াজি রাজার এই জাম্বিয়া সফর।
তার ১৩তম স্ত্রীর পরনে ছিলো হাঁটু পর্যন্ত লম্বা এমব্রয়ডারি করা হলদে সোনালী পোশাক। পায়ে স্বর্ণের হিলের সঙ্গে মাথায় মানানসই মায়াবি মুকুট। শক্ত করে হাতে ধরা ছিলো স্বর্ণের পার্স। কণ্ঠা জড়িয়ে ছিলো মুক্তা ও হিরা খচিত হার। রাজা মসওয়াতির পাশে তাকে মনে হচ্ছিলো আফ্রিকান রাজতন্ত্রের বিশেষ প্রতিনিধি।
মসওয়াতি হলেন আফ্রিকার একমাত্র সত্যিকারের জীবিত রাজা। তার বাবা রাজা দ্বিতীয় সাভুজা ১৯২১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮২ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ ৬১ বছর সোয়াজিল্যান্ড শাসন করেন। ১৯৮২ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে ক্রাউন প্রিন্স হন মসওয়াতি। ১৯৮৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি রাজার মুকুট পরেন। এখন পর্যন্ত ৩ স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন ৩০ সন্তানের এই জনক।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
জেডএম/