ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

ভারত থেকে আরো এক গন্ডার ফিরিয়ে নিলো নেপাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
ভারত থেকে আরো এক গন্ডার ফিরিয়ে নিলো নেপাল ভারত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া গন্ডার ছাড়া পেয়ে নেপালের ন্যাশনাল পার্কের গভীরে চলে যাচ্ছে।

ঢাকা: বন্যায় ভেসে ভারতে চলে যাওয়া আরো এক একশৃঙ্গী গন্ডার ফিরিয়ে নিয়েছে নেপাল। গত ১৩ আগস্টে রাপতি নদীর বন্যায় নেপালের চিতওয়া ন্যাশনাল পার্ক থেকে বেশ কিছু গন্ডার ভেসে ভারতের উত্তর প্রদেশের মদনপুরে বাল্মিকী নগর টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে চলে যায়।

তারপর থেকেই কখনো গাড়িতে তুলে, কখনো হাতি দিয়ে তাড়িয়ে একটা দুটো করে গন্ডারের নেপালে প্রত্যাবাসন ঘটানো হচ্ছে।

সর্বশেষ উদ্ধার করা মাদি গন্ডারটিকে চিতওয়া ন্যাশনাল পার্কের পূর্বাঞ্চলের জোনাকাউলি এলাকায় ছাড়া হয়েছে।

চিতওয়া’র প্রধান সংরক্ষণ কর্মকর্তা রামচন্দ্র কান্দেল জানান, রাপতি নদী দিয়ে ভেসে যাওয়া  মোট ৯টি গন্ডারকে এ পর্যপ্ত ভারত থেকে উদ্ধার করে নেপালে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। বন্যায় ভেসে যাওয়া আরো গন্ডার ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ভারত থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।  

তিনি জানান, গত আগস্টের ওই ভয়াবহ বন্যায় নেপাল থেকে সহস্রাধিক বন্যপ্রাণী ভেসে ভারতে চলে যায়। এগুলোর মধ্যে ৫টি গন্ডারে মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে তারা।

বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে চিতওয়া ন্যাশনাল পার্কের ২৫টি গন্ডার প্রাণ হারিয়েছে। ২০১৫ সালের জরিপ অনুযায়ী, চিতওয়া ন্যাশনাল পার্কে এক শৃঙ্গী গন্ডারের সংখ্যা এখন মাত্র ৬০৫টি।

বর্তমানে সারা পৃথিবীতে কেবল নেপাল এবং ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের হিমালয় পাদদেশীয় এলাকায় এই একশৃঙ্গী গন্ডারের বসবাস হয়েছে। এদের সংখ্যা এখন হাজার তিনেক হবে।

এক সময় বাংলাদেশেও এ প্রজাতির গন্ডার বাস করতো। ১৯৫০-৬০ সালে সুন্দরবন আর উত্তরবঙ্গের শাল বনে এক শৃঙ্গী গন্ডার দেখা যেতো।  
এখনো হাতির পরেই এই এক শৃঙ্গী গণ্ডারই উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী।   সার্বিক বিচারে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ প্রাণী। আকারে আফ্রিকান গন্ডারের চেয়ে ছোটো হলেও একেকটির ওজন দেড় হাজার কেজির কম নয়।

এদের চামড়া বর্মের মতো, মোটা ও অনেকগুলো খাঁজযুক্ত। এদের ঘাড়-কাঁধ ও দেহের পাশের চামড়া স্ফীত। নারী গণ্ডারের উচ্চতা ১.৬ মিটার। ছেলে গণ্ডারের উচ্চতা ১.৮ মিটার।

তৃণভোজী এক শৃঙ্গী গন্ডার ছোট ছোট দলে চলাফেরা করে। এদের বুদ্ধিবৃত্তি অত্যন্ত নিচু স্তরের হওয়ায় অল্পতেই রেগে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। পাচারকারিরা শিং এর লোভে এদের হত্যা করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।