পরক্ষণেই আমাদের ভুল ভাঙলো। লোকটি গাড়ি থেকে নামামাত্র মুহূর্তেই চারদিক থেকে সব বিড়াল জড়ো হয়ে তার পিছু নিলো।
আরও অবাক করার মতো কথা হলো, তিনি খাবারগুলো এনেছেন রাস্তা থেকে কুড়িয়ে।
সাগড় পাড়ের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাছ থেকে এ তথ্যটি জানলাম। তারা আরও বললেন, লোকটি প্রায়ই এখানে এসে বিড়ালদের খাওয়ানোর কাজটি করে যান।
অন্যরকম এই বিড়ালপ্রেমীকে দেখে ঈর্ষাকাতর হলাম।
আমরা বিনোদন ও মানসিক ফ্রেশনেসের জন্য কতো পয়সা খরচ করি। অথচ এমন বহু কাজ হাত বাড়ালেই করা যায়, যা আমাদের মনে অনাবিল প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি এনে দেবে। আবার তাতে কোনো পয়সাও খরচ হবে না। সেই সঙ্গে জান্নাতের সুসংবাদ তো রয়েছেই!
একটি কুকুরকে পানি পান করিয়ে জান্নাত নিশ্চিত করেছেন এক ব্যভিচারী নারী। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক প্রাণীর উপকার করাতেই পূণ্য রয়েছে।
পক্ষান্তরে একজন ইবাদতগোজার নারী একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখে কষ্ট দিয়ে হত্যার দায়ে জাহান্নামি হয়েছেন। উভয় ঘটনা সহিহ হাদিসের কিতাব বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএইউ/