ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৭-তে ধনী-গরিবের এই বিশাল বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ক্রেডিট সুইসের রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০০০ সাল থেকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ মানুষের অধীনে রয়েছে ৫০ দশমিক এক শতাংশ সম্পদ। ধনী-গরিবের এ বৈষম্যের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছে, এর প্রভাবে সামাজিক গতিশীলতা বিঘ্নিত এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবীদের শিক্ষাগতমান কমে যেতে পারে।
বলা হচ্ছে, বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসেট যেমন- শেয়ার, বন্ড, রিয়েল এস্টেট ইত্যাদির দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির কারণে ধনী-গরিবের তফাত আরও বাড়বে। কারণ ধনীরা তাদের সম্পত্তির একটি বড় অংশ এসব ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসেট, বিশেষ করে কোম্পানি সিকিউরিটিতে রূপান্তর করে রাখেন। এতে যে এক শতাংশ মানুষ বিশ্বের অধিকাংশ সম্পদের নিয়ন্ত্রক, তাদের সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়বে।
ফলে বিশ্বে কিছু নতুন ধনী ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে। ক্রেডিট সুইসের হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৯ লাখ নতুন মিলিয়নিয়ার বিশ্বঅর্থনীতিতে প্রবেশ করেছে।
সম্পত্তির বৈষম্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের, বিশেষ করে যাদের বয়স ১৭ থেকে ৩৫ বছর। স্টুডেন্ট লোনের উপর উচ্চ সুদ, সম্পত্তি বন্ধকে আরোপিত সীমাবদ্ধতা, বসবাসের খরচ বৃদ্ধি ইত্যাদি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের জন্য প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নতুন প্রজন্মের নাগরিকরা তাদের অভিভাবকদের তুলনায় কম সম্পত্তির মালিক। অতীতে তাদের অভিভাবকরা একই বয়সে আরও বেশি সম্পত্তির মালিক ছিলেন।
তবে ক্রেডিট সুইস নতুন প্রজন্মের কয়েকজন সফল মানুষকেও চিহ্নিত করেছে। ২০১৭ সালে ৪০ বছরের কম বয়সী বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৪৬ জন। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ২১ জনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এনএইচটি/এএ/জেডএম