সম্প্রতি ডাচ্ এয়ারলাইন্স কেএলএমের একটি প্লেন রানওয়ে থেকে উড়াল দেওয়ার পর মুহূর্তেই এতে বজ্রপাত ঘটে। বজ্রপাতের এ চাঞ্চল্যকর দৃশ্যটি দেখা যায় ভালক অ্যাভিয়েশনের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে।
আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসছিল বাজ পড়ার শব্দ। এমন বিপদজনক আবহাওয়ার মধ্যেই আর্মস্টারডামের স্কিপোল এয়ারপোর্ট থেকে উড়াল দেয় যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৭৭।
রানওয়ে থেকে উড়াল দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি শক্তিশালী বজ্রপাত আঘাত হানে প্লেনের নাকে। এরপর বাজটি প্রবাহিত হয়ে প্লেনের বাম ডানা দিয়ে নিচের দিকে ধাবিত হতে দেখা যায়। পর মুহূর্তেই তা মেঘের আড়ালে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়।
শক্তিশালী বজ্রপাত আঘাত হানলেও প্লেনটি যাত্রী সমেত ভালোভাবেই অবতরণ করে গন্তব্যে। ১২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর তা পৌঁছে পেরুর রাজধানী লিমাতে।
জানা যায়, প্লেনের কাঠামো তৈরিতে সাধারণ ধাতুর বদলে অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত ও টাইটানিয়ামের এক ধরনের যৌগ ব্যবহৃত হয়। যৌগটি বজ্রপাত শোষণ করতে সক্ষম। তাই বজ্রপাত আঘাতের পরও প্লেনটি সে ধাক্কা সামলে উঠতে পেরেছে।
এর আগে বজ্রপাতে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে। সেবার একটি বোয়িং ৭০৭-১২১ প্লেন বজ্রপাতের আঘাতে আকাশেই বিস্ফোরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে আছড়ে পড়ে তা। মারা যান ৮১ জন যাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এনএইচটি/এএ