সন্তান হন্তারক সেই নারীর নাম মায়ুমি সাইতো। তার বয়স এখন ৫৩।
ওসাকার এক পুলিশ স্টেশনে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সাইতো জানান, আর্থিক দুর্দশার কারণে ওই চার সন্তানের ভরণপোষণ করা তার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তাই তিনি নিজের গর্ভজাত ৪ সন্তানকে বালতিতে পুরে রাখেন।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ওই নারীর অ্যাপার্টমেন্টে অনুসন্ধান চালিয়ে পায়খানার মধ্যে চারটি কংক্রিট মোড়ানো বালতি খুঁজে পেয়েছে। স্ক্যান করে সেগুলোর প্রতিটিতে নবজাতকের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
ওই নারী এখন তার এক ছেলের সঙ্গেই থাকতেন। পুলিশ তাকে জেরা অব্যাহত রেখেছে। নিজের চার সন্তানকে তিনিই মেরে ফেলেছেন, নাকি তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জাপানে টুইটার কিলার হিসেবে কুখ্যাতি কুড়োনো শিরাইশি গ্রেফতার হওয়ার তিন সপ্তাহ পর খুনি মা সাইতো নিজে থেকেই পুলিশ স্টেশনে চলে আসেন। সিরিয়াল কিলার শিরাইশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত হওয়া অন্তত ৯ বন্ধুকে খুন করে কুলার কনটেইনারে ভরে রাখেন। কিন্তু সাইতোর কাণ্ড সেই নৃশংসতাকেও ছাড়িয়ে গেলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
জেডএম/