৭৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি চলে আসছে।
এ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে স্প্যানিশরা সাধারণত কর্মদিবস শুরু করেন সকাল ৯টায়।
রাত আটটায় দিন শেষ হওয়ায় স্প্যানিশরা তাদের সামাজিক জীবন রক্ষা করেন সকালে। প্রিমিয়ার টেলিভিশন সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত শুরুই হয় না।
মানচিত্রেও বিষয়টি প্রমাণিত। স্পেনের যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে একই রেখাংশের পাশে গ্রিনউইচ মান সময় এলাকায় (জিএমটি) থাকা উচিত ছিল। কিন্তু দেশটি মধ্য ইউরোপীয় সময়ে (সিইটি) পরিচালিত হয়, যা রাজধানী মাদ্রিদ থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পূর্বের সার্বিয়ান রাজধানী বেলগ্রেডের সঙ্গে সমন্বয় রাখে।
স্বৈরশাসক জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো স্পেনের ক্ষমতা দখলের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪০ সালে স্পেনের সময় অঞ্চলটিকে পাল্টে দিয়েছিলেন। নাজি জার্মানির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনেন তিনি।
ঘড়ি পরিবর্তিত হওয়ায় স্প্যানিশদের হঠাৎ করে তাদের ৪টার পরিবর্তে ৩টায় বিকাল এবং ৯টার পরিবর্তে ৮টায় রাত শুরু হয়।
কিন্তু ভুল সময়ের দেশে বসবাসের ফলে অনেক স্প্যানিশের ঘুম পর্যাপ্ত হয় না এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। পরে কাজ করা শুরু হওয়ায় সামাজিক জীবনও এক ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণে বাধ্য হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পরও ঘড়িগুলোকে পাল্টানো হয়নি। তবে ২০১৬ সালে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যারিয়ানো রেজভ ঘোষণা দিয়েছেন যে, রাত ৮টার পরিবর্তে সন্ধ্যা ৬টায় কর্মদিবস শুরুর একটি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা করছে সরকার। পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, স্পেনের সময় অঞ্চল পরিবর্তন করে সিইটি থেকে জিএমটিতে আনার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুরো দেশে ব্যাপক আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
এএসআর