বড়দিনের বর্ধিত বা যীশুর আবির্ভাব নিকটবর্তী ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি উদ্যাপনে রাজধানীর মেক্সিকো সিটির জায়ান্ট প্লাজায় কেক খাওয়ার পার্টিটি হয়।
২ হাজার ১৪২ জন কারিগর মিলে শুক্রবার (০৫ জুন) রাতভর ‘রোসকা ডে রেইস’ নামে পরিচিত কেকটি তৈরি করেন।
বার্ষিক এপিফান উৎসবের এবারের রোসকা শহরের ১.৪৪ কিলেমিটার জুড়ে রাখা হয়, যা ৯.৩৭৫ টন পরিমাপ করে।
মেক্সিকান সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, এ বছরের রোসকার একটি সুস্বাদু অংশ চিনি ছাড়া তৈরি করা হয়, যা ঐতিহ্যগতভাবে মিষ্টি ফল দিয়ে সজ্জিত। যেন, যাদের মিষ্টি খাওয়া নিষেধ, তারাও উৎসবে অংশ নিতে পারেন।
‘এই রোসকা তাই বেশ সুস্বাদু’- বলছিলেন প্রথমবারের মতো পার্টিতে যোগ দেওয়া ৮৪ বছরের ডোলোরেস্ রদ্রিগেজ।
খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন যে, তিনজন জ্ঞানী পুরুষ শিশু যীশুর জন্য সোনা, লোবান ও গরু উপহার নিয়ে আসেন।
০৫ জানুয়ারি সন্ধ্যেবেলায় তাই ট্রেস রেইস ম্যাগোসেরা (তিন জ্ঞানী) বাচ্চাদের জন্য খেলনা নিয়ে আসবেন বলা মনে করা হয়। ০৬ জানুয়ারির পার্টিতে রোসকা ডে রেইস (গোল কেক) খেতে দেওয়া হয়। আর এ পার্টির সঙ্গে উৎসবটি শেষ হয়।
কেকের ভেতরে একটি ছোট্ট পুতুল লুকিয়ে রাখা হয়, যা শিশু যীশুকে বোঝায়। এটি খাওয়ার সময় যিনি পুতুলটি খুঁজে পান, তাকে ০২ ফেব্রুয়ারি ‘ক্যান্ডেল ডে’তে শেষ পার্টি দিতে হয়। যারা কেকের টুকরো খান, নিমন্ত্রণদাতাকে দেশটির ঐতিহ্যবাহী ট্যামালেস (আধা কেজি করে মুরগির মাংস, ভুট্টার গুঁড়া ও ডাল মিশ্রিত মরিচ গুঁড়োয় সিদ্ধ করা খাবার) রান্না করে খাওয়াতে হয়। কোনো কোনো জায়গায় কেকের ভেতরে তিনটি ছোট্ট পুতুল থাকে, যা ‘তিন জ্ঞানীকে’ বোঝায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এএসআর