ওই শিক্ষকের নাম অউরা কোয়াডু। ঘানার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের একটি স্কুলে চাকরি করেন তিনি।
কোয়াডু বলেন, প্রত্যেক শিক্ষকেরই শিক্ষাদানের একটা নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। আর এটাই আমার নিজস্ব পদ্ধতি। আমি চাই, যা পড়ানো হচ্ছে তা শিক্ষার্থীরা যেন ঠিকমতো বুঝতে পারে। আমি চেষ্টা করি, কম্পিউটারের সামনে বসলে যে চিত্রটা তাদের দেখতে পাওয়ার কথা, তা সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা দেওয়ার।
কোয়াডুর এমন অভিনব শিক্ষাদান পদ্ধতি ঝড় তোলে ঘানার নাগরিকদের মধ্যে। অনেকে বলেন, এই ২০১৮ সালেও কেন একটা স্কুলে কোনো কম্পিউটার নেই!
তবে সবাই প্রশংসা করেন কোয়াডুর অভিনব পদ্ধতিকে। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে একাধিক ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর পৌঁছে যায় কোয়াডুর স্কুলে।
কোয়াডু বলেন, ঘানার অনেক স্কুলেই শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো কম্পিউটার সুবিধা নেই। শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে সাহায্য হিসেবে পাওয়া অতিরিক্ত ল্যাপটপ ও প্রজেক্টরগুলো আমি এসব স্কুলে পৌঁছে দিতে চাই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোয়াডুর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে অনেকে বলেন, যেসব অনুন্নত দেশের স্কুলে কম্পিউটার নেই, সেসব স্থানে এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কম্পিটার ও তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা দেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ