সাইকেলের বদলে টিকটিকি পেয়ে প্রথমে কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন ব্রুম্মেট দম্পত্তি। কিন্তু ‘বিয়ার্ড ড্রাগন’ নামের এই বিশেষ প্রজাতির টিকটিকি পেয়ে তারা এখন বেজায় খুশি।
ক্রিস ব্রুম্মেট তার অভিজ্ঞতার বর্ণনার সময় গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে ব্যাপারটি ভীতিজনক ছিল। আমি ভাবছিলাম, এই প্রাণীটার নাম কী?
এরপর প্রাণীটাকে কিভাবে তাড়ানো যায় সেটা ভেবে দেখেন দু’জনে। কিন্তু বাক্সের গায়ে ‘মেড ইন চায়না’ লেখাটি খেয়াল হলে প্রাণীটার প্রতি দয়া জন্মে যায় ক্রিসের সঙ্গী আল ব্রুম্মেটের মনে। কারণ, চীন থেকে বাক্সটি তাদের কাছে পৌঁছাতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগার কথা। এই এক সপ্তাহ ধরে প্রাণীটি না খেয়ে বাক্সের বন্দি অবস্থায়।
বিয়ার্ড ড্রাগনের আশ্রয়ের জন্য তারা নিকটবর্তী প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খোঁজও করেন। কিন্তু কেউ প্রাণীটিকে নিতে চায়নি। পরে আদুরে প্রাণীটিকে নিজেরাই পোষার পরিকল্পনা করেন। শুধু কি তাই! বিয়ার্ড ড্রাগনের জন্য ঘরও বানিয়েছেন এ দম্পত্তি। সেই ঘরে রয়েছে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও।
‘বিয়ার্ড ড্রাগনে’র একটি সুন্দর নামও দিয়েছেন এ দম্পত্তি। ড্রাগনদের নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘দ্য নেভার এনডিং স্টোরি’ থেকে ‘ফালকোর’ নামটি বেছে নিয়েছেন তারা।
ফালকোর কোথা থেকে এসেছে সেই সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও অপ্রত্যাশিতভাবে আদুরে প্রাণীটি পেয়ে ক্রিস ও আল ব্রুম্মেট এখন দারুণ খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি