শুধু রুটি খাওয়ার চর্চাই নয়, কি দিয়ে রুটি তৈরি হতো তাও উন্মোচন করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, প্রায় ১৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে রুটি খাওয়ার প্রচলন পৃথিবীতে ছিল।
প্রত্নতাত্বিকদের ধারণা, রুটিগুলো অনেকটা পরোটার মতো দেখতে ছিল। এর স্বাদও ছিল এখনকার শস্যের রুটির মতো।
জর্ডানের কালো মরুভূমিতে এ রুটির সন্ধান পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তারা দু’টি ভবন উন্মোচন করেন। যেখানে তারা আগুনে সেঁক দেওয়ার পাথরও খুঁজে পান। এছাড়া রুটির টুকরাও খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাদের ধারণা, ১৪ হাজার বছর আগে রুটি তৈরি করা হতো। এর আগে অবশ্য তুরস্কে ৯ হাজার বছর আগের রুটির সন্ধান মেলে। জর্ডানে খোঁজ পাওয়া রুটির দানা প্রত্নতাত্ত্বিকদের আরও ৫ হাজার বছর পুরনো ইতিহাসে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর ডোরিয়ান ফুলার বলেন, এটাকে রন্ধনপ্রণালীর সবচেয়ে পুরনো প্রমাণ বলা যেতে পারে। কেননা রুটিগুলো বিভিন্ন জিনিসের মিশ্রণে তৈরি করা হতো। তার ধারণা, সে সময়ের মানুষরা পোড়া মাংসের সঙ্গে এ রুটি খেতো। রুটির দানাগুলো অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন, প্রথমে শস্য দানা গুঁড়ো করা হতো, এরপর সেগুলো স্যাঁকা হতো সবশেষ মিশ্রণের মাধ্যমে রুটি তৈরি করা হতো।
প্রাচীন এ রুটির আবিষ্কারক কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. আমিয়া আরানজ ওতায়েগুই বলেন, আমাদের পুরনো ও বর্তমান খাবার সংস্কৃতির সংযোগের ক্ষেত্রে রুটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের প্রাগৈইতিহাসিকতার সঙ্গে যুক্ত করবে।
গবেষকদের ধারণা, সে সময়ের অধিবাসীরা একত্রে শিকার যেতো। তারা পাখি কিংবা খরগোশের মতো ছোট প্রাণী শিকার করতো। তাদের ধারণা, কোনো উদযাপনের সময় একত্র হয়ে সে সময়ের মানুষরা রুটি খেতো। প্রত্নতাত্ত্বিকেদের ধারণা, কৃষিযুগ শুরুর আগে সম্ভবত এটির প্রচলন ছিল।
গবেষকরা ল্যাবে রুটি বানানোর পুরনো এ রেসিপি দিয়ে রুটি বানানোর চেষ্টাও করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এএইচ/এএ