ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজ্যটির বিশ্বনাথ জেলায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে আর কোনো উপায় না পেয়ে নদীর তীব্র স্রোতের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র চেপে ভেসে ভেসে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাতে অনেকে এমন মন্তব্য করেছে যে- বিশ্বের সবচেয়ে অস্বাভাবিক স্কুল গমন!
শিশুগুলো সোতিয়া নামে একটি ছোট্ট গ্রামের।
এ বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক জে দাস বলেন, আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। প্রতিদিনই তারা নদী পার হয় অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র চেপে। তা-ও নদীটি শান্ত নয়; ভয়াবহ স্রোত।
তিনি আরও বলেন, নদীটিতে একটি সেতু হলে এ অসুবিধা হতো না বাচ্চাদের। তাছাড়া আগে তারা কলা গাছের তৈরি ভেলায় ভেসে নদী পারাপার হতো। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিজেপি আইন প্রণেতা প্রমোদ বড়থাকুর, যিনি রাজ্যসভায় এ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন, তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, এটি দেখতে খুবই লজ্জাজনক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বড়থাকুর বলেন, সোতিয়া এরিয়ায় কোনো পিডব্লিউডি রাস্তা নেই। আমি জানি না কীভাবে সরকার একটি দ্বীপের মধ্যে স্কুল নির্মাণ করলো। আমরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নৌকা সরবরাহ করতে পারি। এছাড়া আমি জেলা কর্মকর্তাকে স্কুলটি ওই জায়গা থেকে স্থানান্তর করতে বলবো।
এদিকে, দেশটির সংবাদমাধ্যম প্রশাসনকে দায় দিয়ে বলছে, এমন প্রতিকূলতা অনেক গ্রামেই রয়েছে। অনেক শিশু তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করে। এটাতো অবহেলা করা যায় না? যদিও প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
টিএ