মেহমেত ওজুরেক। পাঠকের কাছে নামটি অপরিচিত হতে পারে।
২০০১ সালে প্রথমবার মেহমেতের নাক মেপে দেখেছিল গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ।
সে সময় তার নাক ছিল ৮.৮ সেন্টিমিটার বা ৩.৪৬ ইঞ্চি লম্বা। এরপর আরও দুই বার মেহমেতের নাক মেপে দেখা হয়। সর্বশেষ মাপা হয়, ২০১০ সালের ১৮ মার্চ, ইতালির রোমে। ধারণা করা হয়েছিল, স্বাভাবিকভাবে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দৈর্ঘ্যের হেরফের হয়। তবে শেষ পর্যন্ত মেহমেতের নাকের আকারে কোনো হেরফের দেখা যায়নি।
৭১ বছর বয়স মেহমেতের। এমন নয় বিশ্বে আরও কারো তার মতো বড় নাক নেই। কিন্তু তারা জনসমক্ষে এসে বিষয়টি কখনও দাবি করেননি। হয়তো নিজেদের নাকের আকার মাপার সুযোগও দেননি কোনো সংস্থাকে।
সে যাই হোক, লম্বা নাক থাকায় কিছু সুবিধা কি তিনি পান? মেহমেতের অন্তত তাই ধারণা। তার ঘ্রাণশক্তি অন্যদের চেয়ে বেশি। গন্ধ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তা আরও বেশি কার্যকর বলে জানান তিনি।
তবে হঠাৎ করেই যে মেহমেতের লম্বা নাক আবিষ্কার করা হয়েছে তা নয়। বংশগতভাবেই লম্বা নাকের ঐতিহ্য তাদের। মেহমেত জানান, লম্বা নাক নিয়ে চিকিৎসকদের কোনো ব্যাখ্যা পাননি তিনি। তবে তার বাবা, চাচাদের লম্বা নাক রয়েছে।
নিজের নাক নিয়ে মেহমেত বলেন, আমি এটি পছন্দ করি। বিশ্ব এটি পছন্দ করে, গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষও এটি পছন্দ করেছে। অবশ্য আমার স্ত্রীও এটি পছন্দ করে।
তবে মেহমেত যখন ছোট ছিলেন, তখন পরিবেশ ছিল অন্যরকম। সমবয়সীদের কাছ থেকে কটু মন্তব্য শুনতে হতো তাকে। বন্ধুরা তাকে বিরক্ত করার জন্য ‘বড় নাক’ ডাকত।
মেহমেত বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন বানিয়েছেন। আমার কিছু করার নেই। তবে আমি যখন কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যাই, সবাই আমার দিকে তাকায়। তারা আমাকে পরীক্ষা করে। আমি জানি তারা তখন কী ভাবছে।
কথিত রয়েছে, বিশ্বের দীর্ঘতম নাক ছিল থমাস ওয়েডার্সের। তিনি ১৭৭০ সালের দিকে ইংল্যান্ডে বসবাস করতেন। ওয়েডার্স একটি ভ্রাম্যমাণ সার্কাস দলের সদস্য ছিলেন। তার নাক ছিল ১৯ সেন্টিমিটার বা সাড়ে সাত ইঞ্চি লম্বা।
আরও পড়ুন: চিঠি পাঠাতে কেন পায়রা বেছে নেওয়া হতো?
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
এনএসআর