অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি অপেক্ষার প্রহর গুনে উইন্টার সিজনের জন্য। সামার সিজনের খরা কাটিয়ে শীতের আগমনে প্রতীক্ষায় থাকে সব ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।
কোভিড মহামারির ধাক্কা সামলিয়ে উঠার শুরুতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোল, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে এ যুদ্ধ আজ বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিয়েছে। আর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা পর্যটন খাতকে অন্ধকারের হাতছানি দিচ্ছে। করোনা মহামারির সময় এ খাতের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে শীতকালীন সময়সূচি অনুযায়ী অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির পিক সিজন শুরু হয় অথচ সিজনের শুরুতেই বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে অনিশ্চয়তা। হরতাল, অবরোধ, রাজনৈতিক সহিংসতা, মিছিল, মিটিং সর্বোপরি অস্থিরতায় পর্যটন শিল্প শীতের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থা। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের দুষ্প্রাপ্যতা বিরাজ করছে। হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোতে অতিথিদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে না। এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রী সংখ্যা পর্যায়ক্রমে নিম্নমুখী।
স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বর মাসে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা বেড়াতে বের হবেন, তা চলতি বছর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন, কারণ একটাই রাজনৈতিক অস্থিরতা। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে।
ভ্রমণ খরচও বেড়ে গেছে আগের তুলনায় অনেকগুণ বেশি। টাকার অবমূল্যায়ন, মূল্যস্ফীতির ফলে ট্রাভেল ট্যাক্স বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। ফলে যাতায়াতের খরচ বেড়ে যাবে। যাত্রী প্রবৃদ্ধির ওপর সরাসরি নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। যা পর্যটন ব্যবসার গতি আরও মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্ধকারের হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে উদগ্রীব হয়ে আছে বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি।
লেখক
মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
জেএইচ