ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

রানা প্লাজা: ফাস্ট ফ্যাশন ব্রান্ডরা কি কোনো শিক্ষা নিয়েছিল?

লুইস সেইগল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৪
রানা প্লাজা: ফাস্ট ফ্যাশন ব্রান্ডরা কি কোনো শিক্ষা নিয়েছিল? ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ছবি)

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার এক বছর পূর্তিতে এই লেখাটি প্রকাশ করেন ‘দি গার্ডিয়ান’। লুইস সেইগল রানা প্লাজার ভবন ধ্বসের সময়ও লিখেছিলেন।

ইতোমধ্যে রানা প্লাজা নিয়ে ‘উই আর হোয়াট উই উইয়ার’ নামে তাঁর একটি বইও ‘গার্ডিয়ান’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে।


যখন আমি ফাস্ট ফ্যাশনের সত্যিকার দাম খুঁজতে শুরু করি, তখন থেকেই প্রশ্নটা আমাকে তাড়া করত। তবে এখন আমি এর উত্তরটা জানি। প্রশ্নটা হল, ফ্যাশনের এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় প্রাণ দিতে কতজন মানুষ লাগবে?

কম দামের গার্মেন্টসগুলো কি আমাদের সামনে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল? বাংলাদেশে বিপর্যয়কর রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের প্রথম বর্ষপূর্তিতে আমি আপনাকে বলে দিতে পারি, এ সংখ্যাটা অবশ্যই এগার শ তেত্রিশের চেয়েও বেশি হবে। কারণ এই রানা প্লাজায় মৃত্যুর সারি অনেক লম্বা।

বড় ধরনের ফাস্ট ফ্যাশন ব্রান্ডগুলো এরই ছিল। যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, ওই সময়টা ছিল তাদের সবচেয়ে ভালো বছর। আপনি রানা প্লাজার কথা স্মরণ করবেনই। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরেই এর ভয়াবহ ঘটনাস্থল ঘিরে ছিল সংবাদঅলারা।


আড়াই হাজারেরও বেশি শ্রমিক আহত হয়েছে এ ঘটনায়। ক্ষতিগ্রস্ত অনেককে এখন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ৯ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ তহবিল গড়ে উঠেছে। তবে কম করে হলেও ২৪ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি সাময়িক ক্ষতিপূরণ তহবিল জরুরি।

যখন শ্রমিকরা বিধ্বস্ত ভবনের ইট পাথরের নিচে আটকা পড়ে কথা বলছিলেন—আমরা সে সময় এ পৃথিবী গ্রহের সবচেয়ে সস্তা শ্রমিকের এমনই মর্মান্তিক দুর্দশার কথাই শুনেছি।

আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, পুঁজিবাদী বাজারগুলো যেকোনো কাব্যিক বিচারের কাঠামোগুলোই নষ্ট করে দেয়—এইভাবে এতটা শিশুসুলভ সরল ভঙ্গিতে আমি মোটেও ভাবি না।

আমি মনে করি, এখানে ভাববার অনেক অবকাশ আছে। সবমিলিয়ে ২৮টি পশ্চিমা ব্রান্ড রানা প্লাজা ইস্যুর সাথে যুক্ত। আমাকে তো একজন বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, ‘রানা প্লাজায় যেকোনো ব্রান্ডই উৎপাদন হতো। ’    

শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, এ ঘটনায় ফাস্ট ফ্যাশনের এই ব্রান্ডগুলো তাদের বাণিজ্য কাঠামোর মধ্যে শুভ মুক্তি উদযাপন করতে পারল না। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে ফটকাবাজির বাজার (স্পেকুলেটিভ মার্কেট) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা বেশ লাভবান হয়েছে।

বিশ্বে প্রতিবছর তিন ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি সমমূল্যের গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল শিল্প হয় এবং তা থেকে বছরে নতুন পোশাক তৈরি হয় প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার। এতে আমাদের প্রয়োজন হোক আর নাই হোক পোশাক কিন্তু ব্যাপকহারে বাড়ছেই। ফাস্ট ফ্যাশনও এতে অবশ্যই ক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে।

ফাস্ট ফ্যাশন গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় মার্চেন্ডাইজিংই প্রধান মাধ্যম। গত ১৫ বছরে এই খাতটি বিপুলভাবে গড়ে উঠেছে। এখন এই ফ্যাশনই আমাদের ওয়ার্ড্রবগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে। নিয়ন্ত্রণ করছে পরিহনের মহাসড়কগুলোকেও।

একটা সময় ছিল পোশাকের ধারণা বা পরিকল্পনা— এরপর তা বাস্তবে তৈরি করে স্টোরে নিয়ে যাওয়া— সে সময়টা এখন আর নেই। ফাস্ট ফ্যাশন এই সময়টাকে ছুঁড়ে ফেলল। পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই প্রধান কালপর্বের সীমা অতিক্রম করে এল ফাস্ট ফ্যাশন।

বিখ্যাত ইন্ডিট্যাক্স, ‘জারা’র মতো ব্রান্ডগুলো সত্যিকার অর্থেই পোশাক তৈরির পুরনো ছাঁচটাই ভেঙে দিল। যেখানে ফাস্ট ফ্যাশনের ধারণায় মূল বিষয়টাই হল সময়। কত কম সময়ে কত দ্রুত বেশি পোশাক তৈরি করা হবে সেই ধারণা। যেটাকে বলা হয়—‘সুপার রেসপন্সিভ টাইমটেবিল’। সময় নিয়ন্ত্রণের এই ব্যাপকভিত্তিক প্রক্রিয়াটা হলো, প্রতি বছর ১২ হাজার নতুন নতুন স্টাইলের পোশাক তৈরির একটি কাঠামো। ফলে জারার মতোই এখন প্রতিটি ব্রান্ডের মূল লক্ষ্য হল, দ্রুত এবং সস্তায় উৎপাদন সম্পন্ন করা।

কাজেই দ্রুত ও সস্তায় আউটসোর্সিং করে, মানে বাইরে থেকে তৈরি করে আনার সবচেয়ে মোক্ষম জায়গা হল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় চীন। তবে চীনে বর্তমানে কাপড় কাটিংয়ের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হয়। যেটাকে ‘কাট, মেইক এন্ড ট্রিম (সিএমটি) কিংবা কাপড় তৈরির প্রক্রিয়াও বলা যেতে পারে। এর সঙ্গে আছে সস্তায় উদ্বৃত্ত শ্রম সুবিধা। এর প্রধান মাধ্যম হল নারী শ্রমিক।      

চীন এখন ফ্যাশন তৈরির প্রক্রিয়ায় (সিএমটি) জড়িয়ে পড়েছে। কারণ তাদের মূল সময়ের  (লিড টাইম) মধ্যে পোশাকের মূল (বেসিক) অংশ তৈরির সর্বোচ্চ সক্ষমতা রয়েছে।

তবে এর জন্য অস্বাভাবিক চাপ নিতে হয়। ক্রমাগতভাবে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মাধ্যমে এই চাপ কাঁধ পেতে নিতে হয়। তারপরই সেই কাজ পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হয়। রানা প্লাজার শ্রমিকরা যেমন করে চাপ নিয়েছিলেন এ চাপ সেরকমই। আর এই চাপই তাদেরকে জরুরি অর্ডার সম্পন্ন করতে একটি ভবন ধ্বসের মতো ঘটনার দিকে ঠেলে দিয়েছিল।

এতকিছুর পরও (সুতা তৈরি থেকে শুরু করে ডাইং, (রঙ) স্পিনিং এবং সর্বশেষ ফিনিশিং পর্যন্ত) পরিবেশের চাপ, মানবিক মূলধন, কাপড়-পোশাক সবই এখন বানানো হয়। আবার পচনশীল জিনিসের মতোই তা বিক্রিও করে দেয়া যায়।

Generation Y-ers মোটেই এতটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই বিক্রেতা হয়ে যায়নি এই ব্রান্ডটি। এর ডিজাইন টিম আছে। মাঝারি দামের পোশাক তৈরি করে তারা। এসব পোশাক দিয়ে গড়পড়তা একটি ওয়্যারড্রোব ভরতে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ সময় লাগে। যেটি ৪ পাউন্ডের টি-শার্ট এবং ১০ পাউন্ডের জিন্স (ডিসপসেবল) তৈরি করে।

বাজারগুলোও বাণিজ্য করার এই ধরনের নমুনা পছন্দ করে। সুনির্দিষ্টভাবে এ কাঠামো বা নমুনায় ফাস্ট ফ্যাশনগুলো সফল হচ্ছে। গত বিশ বছর আগে পোশাক শিল্প কিছুটা হোঁচট খেয়ে পড়েছিল। কিছুটা হামাগুঁড়ি দিয়েই চলছিল। এ অবস্থা থেকে ফাস্ট ফ্যাশনে উত্তরণের ফলে বিনিয়োগকারী এবং বাজার বিশেষজ্ঞরা বেশি প্রশংসিত হয়।

ফাস্ট ফ্যাশনকে চিহ্নিত করা হয় এর ধীর গতির মুনাফা এবং সর্বোচ্চ সক্ষমতার মাধ্যমে। ফাস্ট ফ্যাশনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং শক্তিশালী সর্বোচ্চ কার্যকর মেশিন স্থাপন করতে হয়। এর জন্য বিশ্বের টপ ব্রান্ডগুলো খুবই দু‍ৎসাহসিক। তারা পাগলের মতো খরচ করে, বিনিয়োগ করে।

এক মাস সামনে রেখেই এইচএন্ডএম, ইন্ডিট্যাক্স, ফাস্ট রিটেইলিংয়ের (Uniqlo ইউনিকলো’র মালিক) মতো ব্রান্ডগুলো সবাই আশা করতে থাকে, তাদের আয় আর রাজস্ব উপচে পড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় আসল নায়ক হল প্রিমার্ক। রানা প্লাজায় উৎপাদনের ৬ মাস পরই এলো ভবন ধ্বসের দুর্ভাগ্যজনক দিনটি। তারপরও নগর বিশ্লেষকরা রানা প্লাজার বিক্রেতা ব্রান্ডগুলো যে আয় করেছে তাকে ‘উল্লেখযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।   

ফাস্ট ফ্যাশনের শক্তিশালী ব্রান্ডগুলো নিজে নিজেই সম্প্রসারিত হয়নি। রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ল। আর তার পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের আন্তর্জাতিক কর্মীরা এধরনের কারখানার সঙ্গে যুক্ত ব্রান্ডগুলোকে বর্জন করেনি। তারা বর্জন কর্মসূচি থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখল (আমি এটাকে এখনো ঠিক মনে করি)। বর্জন আসলে ফ্যাশনের বাইরের জিনিস। কারণ এই ব্রান্ডগুলো অনেক মানুষকে আঘাত করেছে; আঘাতের পর তাদেরকে এখন সাহায্য করা হবে।
এ ঘটনায় চল্লিশ লাখ পোশাক তৈরির সিপাহিরা, বাংলাদেশের এই পোশাক সেনারা তাদের জীবন জীবিকার জন্য এই ফাস্ট ফ্যাশনের উপরই নির্ভর করে।

...........................

এখন পর্যন্ত বাণিজ্যের যে কাঠামো রয়েছে, সেটিকে শুধু একটি দাস বাণিজ্যের কাঠামোই বলা যায়। কিন্তু এই কাঠামো জোর করে হলেও পরিবর্তন করতে হবে। না হয় ভবিষ্যতে রানা প্লাজার মতো আরও ঘটনা ঘটবে

..........................

 

সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে লেখা ‘ক্রিয়েটিং সাস্টেইনেবল অ্যাপারেল ভ্যালু চেইনস’ শিরোনামের রিপোর্টে বিশ্লেষক ড. ম্যাক্সিমিলিয়ান মার্টিন লিখেছেন, ‘ যেসব ভোক্তার কম কেনা উচিত, যুক্তির কথা হল তারা প্রতি মুহূর্তেই বেশ সরব থাকবে। কিন্তু তথ্য প্রমাণে দেখা যায়, ভোগের গতি কমবে না, বরং এই ভোগ না থাকলে বড় ধরনের যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। ’ সত্যিকার অর্থেই আমি মনে করি, ফাস্ট ফ্যাশনের প্রতি এটা আমাদের এক ধরনের আসক্তি। যেখানে আমাদের অনেকেই ফ্ল্যাক জ্যাকেট কিংবা ধাতব পোশাক পরে ঝুঁকির মধ্যেই দৌড়াতে থাকবে।


অদ্ভূতভাবেই একথাটা বলতেই হয় যে, এই শ্রমিকদের জন্য আমাদেরকে আরো বেশি কাপড় দেয়া উচিত। কিংবা এমন একটি ঘটনায় ফাস্ট ফ্যাশন ব্রান্ডগুলোকে জবাবদিহিতা তৈরি রাখা উচিত। এমন ঘটনায় পোশাক কারাখানাওয়ালারা সহজেই জেলে থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে যায়। কারণ তাদের কাছে জেল থেকে মুক্ত হওয়ার মতো অনেক কার্ড আছে।


তবে সবচেয়ে কার্যকর ধারণাটা হল, এ ব্রান্ডগুলো ফ্যাশনকে গণতান্ত্রিক করে তোলার কথা বলে। অথচ তারা অসম মূল্য বা শ্রেণীর ভোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমেই এই গণতন্ত্রায়ন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।


আমরা মূলত এই আবদ্ধ পরিস্থিতিতে বা ফাঁদ পাতা জালে পড়ে গেলাম। সত্যিকার অর্থে কিছু বাহ্যিক লক্ষণ থেকে আপনি ধরে নিতে পারেন যে, কিছু ফ্যাশন বিক্রেতা আছেন, যারা ফুড ব্যাংক পরিচালনা করছেন, কিন্তু তাতে তারা মোটেও ব্যবস্থাযোগ্য লাখ লাখ পোশাক-কাপড় বিক্রি বিনিময় করছে না।  


এর মানে হল, তারা সবাই বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা এবং একটি শিল্প বিপ্লবের পথ সুগম করা সম্পর্কে জানে। যদিও এর জন্য তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুড়িতে বাংলাদেশের সবরকম সম্ভাবনাই আছে, জিডিপিও আছে। শ্রমিকদের বাস্তব সুযোগ সুবিধাগুলো আমাদের যত্নের সঙ্গে মূল্যায়ন করা জরুরি। পাশাপাশি যদি বাস্তবিক অর্থেই অগ্রগতির মূল জায়গায় উন্নয়নের চিন্তা থাকে তবে ব্রান্ডগুলোর একেবারে ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করা দরকার।


পোশাক শিল্প ইতোমধ্যে ‘বাংলাদেশের চাহিদা’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। হয়ত উৎপাদনের জন্য মিয়ানমারসহ অন্যকোনো দেশও খোঁজা যেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বাণিজ্যের যে কাঠামো রয়েছে, সেটিকে শুধু একটি দাস বাণিজ্যের কাঠামোই বলা যায়। কিন্তু এই কাঠামো জোর করে হলেও পরিবর্তন করতে হবে। না হয় ভবিষ্যতে রানা প্লাজার মতো আরও ঘটনা ঘটবে।

তবে শেষ কথা হল, রানা প্লাজাকে তো দাঁড়াতে হবে। ২৪ এপ্রিল ২০১৪, বৃহস্পতিবার রানা প্লাজার প্রথম বর্ষপূর্তি। দিনটিকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন পর্যায়ের বহু কর্মী এক্টিভিস্টরা মিলে ‘ফ্যাশন বিপ্লব দিবস’ হিসেবে ঠিক করেছে। যারা পোশাক পরেন এমন সাধারণ ভোক্তাদেরকেও অবশ্যই এর পক্ষে দাঁড়াতে হবে। ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকেও নিশ্চয়ই দেখাতে হবে যে, তারা পুরাপুরি সেলাইযুক্ত নয়।   

 

অনুবাদ: শাহাদাৎ তৈয়ব


বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।